নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর। বেতন ফেরত দিতে হবে কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব না হওয়ায় এমন রায় শীর্ষ আদালতের। সেই রায় ঘোষণার ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর মুখ খুলল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে, রায় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি কমিশনের। এই ইস্যুতে বললেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বসে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, "আইনি ব্যাখ্যা না নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারব না। প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।" সুপ্রিম রায়ে বলা হয়েছে, চাকরিহারাদের জন্য নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন করে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হব। কবে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে, সেদিকে তাকিয়ে আছেন চাকরিহারারা। তবে, এখনও সেই উত্তর নেই এসএসসি-র কাছে।
সিদ্ধার্থ মজুমদার এদিন জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মধ্যে আগামী কিছু কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যেই বৈঠকও হয়েছে কমিশনে। সরকারের কাছ থেকে একটি চিঠিও এসেছে তাদের কাছে। তবে আইনি বিষয়গুলো স্পষ্ট হলে তবেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। এসএসসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, "কারা নিয়োগে অংশ নেবে, কাদের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। রায়ের বয়ান এখনও ১০০ শতাংশ স্পষ্ট নয়।"
তবে তিন মাসের মধ্যে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়া সম্ভব নয়, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য, তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার কথা রায়ের বয়ানে বলা নেই। কতজন, পরীক্ষা দেবে, তার উপর নির্ভর করছে, ঠিক কত সময় লাগবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন