প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কে নিযুক্ত হলেন জানেন? মন্ত্রিসভা নিয়োগ কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন, নিধি তিওয়ারি। প্রধানমন্ত্রীর নতুন ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন আইএফএস নিধি তিওয়ারি। ইতিমধ্যেই সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আইএফএস নিধি তিওয়ারিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ২০১৪ ব্যাচের আইএফএস অফিসার নিধি তিওয়ারি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ২৯ মার্চ জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিওয়ারিকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে নিয়োগে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ২০১৪ ব্যাচের আইএসএফ নিধি তিওয়ারি এর আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁর দক্ষতার পরিচয় দেন। নয়া দায়িত্বে তাঁকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আয়োজন করতে হবে এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পদে কর্মকর্তা আমলা কেবল প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল ফাইল এবং বৈঠক পরিচালনা করেন না, বরং নীতি নির্ধারণ এবং প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজেও তিনি জড়িত থাকেন।
সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫
রেড রোর্ড বাম-বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী!
রেড রোডে ইদের নমাজ পাঠের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিরোধীদের নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আর্জি জানান তিনি।
প্রতি বছরের মতো এবারও ইদের সকালে রেড রোডে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম-বিজেপিকে একসঙ্গে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমিমি বিদেশ থেকে ফিরেছি। বাম এবং রাম রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি চায়। আমি অশান্তি চাই না। কেউ কিছু বলতে এলে বলবেন দিদি আছে, অভিষেক আছে, সরকার আছে।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'যারা উল্টোপাল্টা বলছে, বলতে দিন। কিন্তু তাতে কান দেবেন না। তাতে গুরুত্ব পেয়ে যাবে। লাল আর গেরুয়া এক হয়ে গিয়েছে। নিজেদের ইজ্জত রক্ষায় আমরা একাই একশো। আপনাদের সবকা সাথ, সবকা বিকাশের স্লোগান মিথ্যে। আমাকে যত পারুন গালাগালি দিন। আমার সঙ্গে আপনারা আছেন, আমি আর কিছু পরোয়া করি না। কোনও দাঙ্গা করতে দেবেন না। ওদের স্লোগান দাঙ্গা করো, আমাদের স্লোগান দাঙ্গা রোখো। ওদের ফাঁদে পা দেবেন না।'
রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫
শেন ওয়ার্নের মৃত্যু রহস্য; প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
তিনি প্রয়াত হয়েছেন প্রায় তিন বছর আগে। এবার শেন ওয়ার্নের মৃত্যুরহস্যে নয়া মোড়। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, থাইল্যান্ডে তাঁর ঘরে একটি বোতল ছিল। যেটা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশ অফিসারকে সেই বোতলটি সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কী ছিল সেই বোতলে? জানা যাচ্ছে, ওই বোতলে 'কামাগ্রা' নামের একটি যৌন শক্তিবর্ধক ওষুধ ছিল। এক পুলিশ অফিসার 'ডেইলি মেল'কে জানিয়েছেন, উপর মহল থেকে ওষুধটি সরিয়ে দেওয়ার আদেশ এসেছিল। ২০২২-র ৩ মার্চ থাইল্যান্ডে প্রয়াত হন ওয়ার্ন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটে তাঁর। এবার ওয়ার্নের প্রয়াণে ওই যৌন শক্তিবর্ধক ওষুধের কোনও ভূমিকা ছিল কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ওই পুলিশ অফিসারের বক্তব্য, "আমাদের আদেশ দেওয়া হয়েছিল ওই বোতলটা সরিয়ে দেওয়ার। উপর মহল থেকে আদেশটা এসেছিল। আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ চায়নি, তাদের কিংবদন্তির শেষ জীবনে কোনও রকম কলঙ্কের দাগ লাগুক। তাই শেষ পর্যন্ত রিপোর্ট আসে যে, ওয়ার্ন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। এর বাইরে আর কোনও কারণ দেখানো হয়নি। 'কামাগ্রা'র প্রসঙ্গে কোথাও ছিল না। এর পিছনে শক্তিশালী লোকেদের হাত রয়েছে।"
চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি!
দিল্লিতে প্রকৃতি সদয়, কলকাতায় নির্দয়। রাতের গরম ঘুম কাড়ছে কলকাতায়। আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। মার্চ-শেষেও দিল্লিতে রাতে ঠান্ডার আমেজ। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম। দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
এদিকে বাংলায় আবার এদিনও দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া দফতর। এদিন তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কবার্তা দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে। হাওয়া অফিস স্পষ্ট বলছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় এখানে একই পরিস্থিতি থাকবে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে; তবে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় খুব একটা পরিবর্তন নেই।
শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫
জাল ওষুধ নিয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে চিঠি দিল নবান্ন!
এবার জাল ওষুধ নিয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে চিঠি দিল রাজ্য। এর পাশাপাশি চিঠি দেওয়া হচ্ছে দিল্লিকেও। জাল ওষুধের তদন্ত করতে গিয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশের সরাসরি যোগ থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্তে উঠে এসেছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গার নাম যেখানে এই ওষুধ তৈরি হচ্ছে। তা উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট দেওয়ার আবেদন। আগামী সপ্তাহে দিল্লিকেও বিস্তারিত তথ্য নিয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের তরফে। নবান্ন সূত্রের খবর, দিল্লিতেও জাল ওষুধ তৈরির একাধিক প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
প্যানটোপ্রাজল, ডক্সিসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেন আধিকারিকেরা। ডক্টর রেড্ডি, অ্যাবট, সিপলার মতো নামি কোম্পানির ওষুধ ব্যান করা হয়। বেশ কিছু ওষুধ শিডিউল এইচ টু ড্রাগ। তবে স্ক্যান করে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে। ওষুধগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ড্রাফ কন্ট্রোল কে জানানো হচ্ছে যে আদৌ সঠিক ওষুধ কিনা। উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে এই ওষুধ কেনা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ড্রাগ কন্ট্রোল জানতে পেরেছে। উত্তরপ্রদেশের ড্রাগ কন্ট্রোল কে এই বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
নিজের কেন্দ্রে পুলিশের হাতে হেনস্থার শিকার বিধায়ক অখিল গিরি!
নিজের কেন্দ্র রামনগরেই পুলিশের হাতে হেনস্থা'র শিকার হলেন তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন মন্ত্রী। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। তাতে অখিলকে পিছন দিকে চেপে ধরে সরিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে র্যাফ বাহিনীকে। বিধায়কও নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। তার জেরেই ধস্তাধস্তি! পরে পুলিশ-র্যাফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে অখিলকে। কৃষি সমবায়ের ভোট ঘিরে শনিবার সকালে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল কাঁথিতে। সেখানে অখিল-পুত্র সুপ্রকাশ গিরির বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করা, এলাকায় ‘সন্ত্রাস’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে উত্তেজনার আবহে রামনগরে পুলিশ এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন অখিল। তাঁর অভিযোগ, রামনগর কলেজে আধার কার্ডের প্রতিলিপি নিয়ে ভোট দিতে যাওয়ায় অনেক ভোটারকে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। আধার কার্ডের প্রতিলিপি উপযুক্ত নথি নয় বলে জানিয়ে পুলিশ ভোটারদের বাধা দিচ্ছিল। তা নিয়ে বিবাদের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তিনি হেনস্থার স্বীকার হয়েছেন বলে দাবি বিধায়কের।
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের!
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন করল। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা ৫৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৫৫ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার পার্থক্য বেড়ে দাঁড়াল ৩৭ শতাংশ। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘভাতা ২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে ৪৮ লক্ষ ৬৬ হাজার বর্তমান কর্মচারী ও ৬৬ লক্ষ ৫৫ হাজার পেনশনভোগী লাভবান হবেন। ২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাড়ানোর ফলে কেন্দ্রের বছরে ৬৬১৪.০৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। সপ্তম কেন্দ্রীয় পে কমিশনের ফর্মুলা মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।