স্তনে হাত দেওয়া বা পাজামার দড়ি ছেঁড়া ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা নয়।এমন বিতর্কিত এই রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এই বিতর্কিত রায়ে স্থগিতাদেশ দিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ে 'সংবেদনশীলতার অভাব' বলেই উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত। উত্তর প্রদেশে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলাতেই এই রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। অভিযুক্তরা নাবালিকাকে ব্রিজের নীচে টেনে নিয়ে গিয়ে, জামা-কাপড় ছিঁড়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নাবালিকার চিৎকারে পথচলতি কয়েকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে। তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্ট সেই ধারা কমিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার বদলে যৌন হেনস্থা বলে উল্লেখ করে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের পরই দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্ট স্বত্বঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা গ্রহণ করে। এ দিন শীর্ষ আদালতে বিচারপতি বিআর গভাই ও বিচারপতি অগাস্টাইন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চের তরফে বলা হয়, "আমরা অত্যন্ত দুঃখিত যে রায়দানকারীর সংবেদনশীলতার অভাব প্রকাশ করেছে। এটা কোনও এক মুহূর্তে নেওয়া সিদ্ধান্ত বা রায় নয়, এটা চিন্তাভাবনা করে রায় কারণ বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ৪ মাস পর রায়দান করা হয়েছে।" এর পরে সুপ্রিম কোর্ট বলে,"আমরা সাধারণত মামলার এই স্তরে এসে স্থগিতাদেশ দিই না। কিন্তু যেহেতু এই রায়ের ২১, ২৪ ও ২৬ অধ্যায়ে মানবিকতার অভাব ও আইনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তাই আমরা স্থগিতাদেশ দিচ্ছি।"
এর পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কেন্দ্র ও উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছে।