নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। অশান্তি রুখতে গিয়ে আক্রান্ত বেশ কয়েকজন পুলিশ। ভাঙচুর পুলিশের গাড়ি। এবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর প্রশ্ন, "কী এমন হয়ে গেল যে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হল?" তাঁর এও বক্তব্য, হিংসাত্মক পথ ধরলে আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে। এক সাক্ষাৎকারে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, "আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি যে কলকাতায় প্রায় ৪৫ বছর আমরা ওঠাবসা করছি। নন্দীগ্রাম তো সেদিন….। সিপিএম-এর পুলিশ কিন্তু আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেনি। এটা সত্যি কথা। আমরা সেই সুযোগই দিইনি। বহু সভা করেছি।" জানা গিয়েছে, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ চলছিল সেই সময় পুলিশ ব্যারিকেড করে তা আটকানোর চেষ্টা করে। এর পরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে লাঠিপেটার। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, "হিংসাত্মক আলোচনায় আন্দোলন করতে গেলে ফেল হয়ে যাবে। আমরা হিংসা চাই না। হিংসা হলে আটকে যাব। আন্দোলন মাঝ-পথে থেমে যাবে। আর যদি হিংসা না হয়, তাহলে আন্দোলন বিভিন্ন রূপরেখা নেবে।"
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
অভিষেকের কেন্দ্রের ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা!
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারী ওই কেন্দ্রেরই বিজেপি প্রার্থী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। এদিন বড় নির্দেশ দিল আদালত। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস (ববি)। তাঁর আইনজীবী বিল্লাদল ভট্টাচার্য বলেছেন, "ওই নির্বাচনী এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে এবং আমি আশা করি আদালতের এই আদেশ তা প্রকাশ্যে আনবে।" দীর্ঘ ৭ মাস পর মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে মঙ্গলবার। এদিন বিচারপতি সুগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, ওই কেন্দ্রের সমস্ত নির্বাচনী তথ্য, সিসিটিভি ফুটেজ, ডিজিটাল নথি সংরক্ষণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ও ওই কেন্দ্রের জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে এই সমস্ত ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি ৫ মে।
অভিজিতের কাছে আইনি পরামর্শ নিতে যাচ্ছেন চাকরিহারাদের একাংশ!
নিয়োগ মামলা ঘিরে আলোড়ন শুরু হয়েছিল তাঁর এজলাস থেকেই। এ বার তাঁর কাছেই আইনি পরামর্শের জন্য যাচ্ছেন চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ। প্রাক্তন বিচারপতি বর্তমানে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুর ৩টেয় তাঁদের বৈঠক। নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চে সোমবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজেদের দাবি পড়ে শুনিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের বড় অংশ। সেখানেও তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা দক্ষ আইনজীবীর অভাব বোধ করছেন। তাই তাঁদের এক জন দক্ষ আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। সেই আবহেই এ বার আইনি পরামর্শ নিতে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিতের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ। বলে রাখা ভাল, সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে এঁদের সামনের সারিতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিজিৎ বলেন, "ওঁরা আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। আমাকে কয়েক জনের নামের তালিকাও পাঠানো হয়েছে। সরাসরি কোনও আইনি পরামর্শ দিতে না পারলেও ওঁরা পরবর্তী কী পদক্ষেপ করতে পারেন, সে বিষয়ে আমার দলের নির্দেশ অনুযায়ী কথা বলব।"
স্বস্তি রাজ্য মন্ত্রিসভার;অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় হাই কোর্টের CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরিতে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের দেওয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশ মঙ্গলবার খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত এদিন জানিয়েছে, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যপালের অনুমোদনও নেওয়া হয়। সেই কারণে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। এই রায়ের ফলে স্বস্তিতে মমতা ও রাজ্য মন্ত্রিসভা। ২০২২ সালের মে মাসে এসএসসিতে নিয়োগের জন্য ছ-হাজারের কাছাকাছি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেছিল শিক্ষা দফতর। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। রাজ্য মন্ত্রিসভাতেও ওই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়। হাই কোর্ট জানিয়েছিল, অতিরিক্ত শূন্যপদ গঠনের ওই সিদ্ধান্ত 'আইনি নয়'। সিবিআই প্রয়োজনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলেও জানিয়েছিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাই কোর্টের ওই নির্দেশের উপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা খারিজও করে দিল।
সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
ফের দাম বাড়ছে রান্নার গ্যাসের!
চাকরি বাতিলের রায়ের 'পরিবর্তন' চেয়ে আবেদন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের!
এসএসসি নিয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সাময়িক পরিবর্তন চেয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আজ সোমবারই আবেদন দাখিল করল পর্ষদ। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক, এমনটাই আবেদন পর্যদের। এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরের সভায় দাঁড়িয়ে বলেছেন, "সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে রাজ্য।" পর্ষদের দাবি, চলতি শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত চাকরিহারাকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চেই এই আবেদন করেছে পর্ষদ। একসঙ্গে ২৫ হাজার ৫৭২ চাকরি চলে যাওয়ায় রাজ্যের একাধিক স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কমে গিয়েছে। কোথাও কোথাও স্কুল শিক্ষক-শূন্য হয়ে গিয়েছে। কোন স্কুলে কী অবস্থা, তা উল্লেখ করা হয়েছে পর্ষদের ওই আবেদনে।
'অযোগ্য'দের কী হবে? এদিনের বৈঠক বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন চাকরিহারাদের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, সরকার যোগ্যদের পাশে আছে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, সুপ্রিমকোর্টের কাছে যারা দাগি তাঁদের কী হবে? এদিন তাও খোলসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, যোগ্যদের সমাধানের পর অযোগ্যদের ওএমআর-সহ যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখবেন তিনি। যদি গলদ ধরা পরে সেক্ষেত্রে কিছু করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে যদি অন্যায়ভাবে কাউকে 'অযোগ্য' বলে দাবি করা হয়, তাহলে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। নিয়োগ প্রক্রিয়া অসাংবিধানিক বলে দাবি করে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে শীর্ষ আদালত। একদল 'অযোগ্য', যার জেরে শাস্তির মুখে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। ফলে অথৈ জলে যোগ্য-অযোগ্য, দুপক্ষই। যোগ্য চাকরিহারাদের প্রশ্ন, তাঁরা কোনও অপরাধ করেননি। তাহলে কেন শাস্তি পাবেন?