আজ, শনিবার বঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহী সফরকে সামনে রেখে একদিকে যেমন জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি শিবির, এর পাশাপাশি এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি প্রশ্ন। তা হল, আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কী সাক্ষাৎ হবে অমিত শাহের? কারণ এই প্রশ্নটা এখন জোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে একটি ইমেলের মাধ্যমে সাক্ষাতের ইচ্ছাপ্রকাশকে কেন্দ্র করে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি। শুধু এ রাজ্য বললে ভুল হবে। প্রতিবাদ হয়েছিল দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও। ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের লাগাতার অনশন আন্দোলন শেষ হতে না হতেই আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর বাবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ইমেইল মারফত চিঠি লিখে অনুরোধ করেন যে, তাঁর সঙ্গে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দেখা করতে চান। যদিও এখনও পর্যন্ত অমিত শাহের দফতরের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সরকারিভাবে সাক্ষাতের কোনও সূচি প্রকাশ করা না হলেও রাজ্য বিজেপি শিবিরের এক সূত্র মোতাবেক খবর, অমিত শাহের এই বঙ্গ সফরে আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
আরজি করের দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত; সিবিআইকে চিঠি
চিকিৎসক দেবাশিস সোম ও সুজাতা ঘোষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিল স্বাস্থ্যদপ্তর। পুজোর আগে, গত ৯ অক্টোবর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যদপ্তরকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তারই উত্তরে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তা সিবিআইকে এই তথ্য জানান। ওই দুই চিকিৎসক আর জি করের অ্যানাস্থেশিওলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. সুজাতা ঘোষ ও ফরেনসিক মেডিসিনের ডেমনস্ট্রেটর ডা. দেবাশিস সোম আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ওই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ জানিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি দেয় সিবিআই।
স্বাস্থ্যদপ্তরকে পাঠানো ওই চিঠিতে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার এক ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক দাবি জানান যে, আর জি করে বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়, হাউস স্টাফ নিয়োগের মতো বিষয়গুলিতে যে দুর্নীতি ধরা পড়েছে, তার সঙ্গে এই দুই চিকিৎসকের ভূমিকা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই তথ্য জানিয়ে দেবাশিস সোম ও সুজাতা ঘোষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সিবিআই। এই চিঠির উত্তরে স্বাস্থ্যকর্তা সিবিআইকে জানিয়েছেন যে, দুই চিকিৎসক দেবাশিস সোম ও সুজাতা ঘোষের উপর যে অভিযোগগুলি উঠেছে, তার উপরই ভিত্তি করে তাঁদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যদপ্তর বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অরবিন্দ কেজরীওয়ালের উপর হামলার অভিযোগ!
আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের উপর হামলার অভিযোগ। শুক্রবার তিনি একটি কর্মসূচিতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। দিল্লির শাসকদল এই হামলার দায় চাপিয়েছে বিজেপির ঘাড়ে। তাদের অভিযোগ, ভোটের আগে কেজরীওয়ালকে আক্রমণ করে আপকে চাপে রাখতে চাইছে বিজেপি। তবে বিজেপির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। শুক্রবারের ঘটনার পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
পশ্চিম দিল্লির বিকাশপুরী এলাকায় শুক্রবার ‘'ফুট মার্চে' বা পদযাত্রায় বেরিয়েছিলেন কেজরী। পায়ে হেঁটে এলাকায় ঘুরছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তাঁদের সমস্যার কথা শুনছিলেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। তার আগে প্রচারে জোর দিচ্ছেন আপ নেতা। অভিযোগ, শুক্রবারের কর্মসূচিতে একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায়।
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪
বিস্ফোরক অভিযোগ কল্যাণের!
ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মেজাজ হারিয়ে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক চলাকালীন তর্কাতর্কির মাঝে তিনি মেজাজ হারিয়ে টেবিলে আছড়ে মেরেছিলেন কাচের জলের বোতল। ওই কাঁচে তাঁর হাত কেটে যায় বলে খবর পাওয়া যায়। এমন আচরণের জন্য ইতিমধ্যেই তাঁকে কমিটি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে লোকসভা থেকেও সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। এবার জেপিসি বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ। আর মুখ খুলতেই ফাটালেন বোমা।
গত মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর সংসদের জেপিসি বৈঠকেই ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছিল। বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে তর্ক বাধে তৃণমূল সাংসদের। বিশেষ করে, বিজেপি সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় মারপিট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
ছবিতে দেখা গিয়েছিল টেবিলে পড়ে রয়েছে ভাঙা কাচের বোতল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঙুলে ব্যান্ডেজ। এআইএমআইএম সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েইসির কাঁধে হাত রেখে বের হতে দেখা যায় তাঁকে। সেইদিন কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও, আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, " আমাকে টার্গেট করা হয়েছে, কারণ আমি প্রতিবাদ করি। অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে কোন আপোশ করব না। আমাকে এখন খুন করার চক্রান্ত চলছে। ওরা আমাকে খুন করতে পারে।"
ঘূর্ণি ঝড়ের গতি কমল; ভারী বৃষ্টি চলবে শনিবার পর্যন্ত
ঘূর্ণিঝড় ডানা'র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া ইতিমিধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করেছিল ঘূর্ণিঝড়। গোটা রাত ধরে সেই প্রক্রিয়া চলে। শুক্রবার ভোরে স্থলভাগ অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড়ের শেষ অংশ। ল্যান্ডফল চলাকালীন ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। তবে সকালে ল্যান্ডফল শেষ হওয়ার পর গতি কিছুটা কমেছে। বর্তমানে উপকূল এলাকায় ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছে বলে জানা গিয়েছে। শক্তি হারিয়ে তা এখন সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বিকেলের মধ্যে আরও কিছুটা শক্তিক্ষয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে 'ডানা'। ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে 'ডানা'। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাত দেড়টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় অংশ স্থলভাগ অতিক্রম করেছে। সকাল সাড়ে ৭টার পরে এই ঝড়ের শেষের অংশ স্থলভাগে ঢুকে পড়েছে পুরোপুরি। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান হাবালিখাটি থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পশ্চিমে। পারাদীপের রাডার থেকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির দিকে অনবরত নজর রাখা হচ্ছে। এর পর আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কলকাতায় তেমন ভাবে পড়েনি। বলা হয়েছিল, এর প্রভাবে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। তবে তেমন কিছু দেখা যায়নি। রাতের দিকে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ কিছুটা বেড়েছিল। বৃষ্টিও তুলনামূলক কম হয়েছে কলকাতায়। বৃহস্পতিবার রাতে ‘'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেও কলকাতায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি ছাড়া 'ডানা'র আর কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। বেশি রাতে অবশ্য বৃষ্টি বেড়েছে।শুক্রবার সকাল থেকেও কমবেশি বৃষ্টি চলছে কলকাতায়। ওয়া অফিস জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। সেই অনুযায়ী আগে থেকেই দিঘা, মন্দারমণির মতো এলাকা পর্যটকশূন্য করা হয়েছিল। ঢেউয়ের উচ্চতাও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকবে বলে জানিয়েছিলেন আবহবিদেরা। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে রাত থেকে ঝড় চলেছে। গতি ছিল ১০০ কিলোমিটারের বেশি। এই ঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে। দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলতে পারে।
দেশের ৫১ তম বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হলেন সঞ্জীব খান্না!
এবার দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। দেশের ১১ নভেম্বর থেকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেবেন বিচারপতি খান্না। CJI চন্দ্রচূড়ের অবসরের পরই দায়িত্বগ্রহণ করতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের নবনিযুক্ত বিচারপতি।
শীর্ষ আদালতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নামটি ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিযুক্ত হলেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। বৃহস্পতিবার তাঁকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এবার হেডস্যার হচ্ছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ!
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা ভেবে বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটারদের ইতিমধ্যে দলে নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চারটে টি-টোয়েন্টি খেলতে নভেম্বরের শুরুতে প্রোটিয়া সফরে যাচ্ছেন সূর্যকুমার যাদবরা। তবে ওই সফরে গৌতম গম্ভীর নন, কোচ হয়ে যাচ্ছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি। সিরিজের শেষ ম্যাচ ১৫ নভেম্বর। ভারতীয় টিম এখন ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলছে। ওয়াংখেড়েতে সিরিজের শেষ তথা তৃতীয় টেস্ট হবে ১-৫ নভেম্বর। যা শোনা যাচ্ছে, তাতে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্য রওনা দেবে ৩ কিংবা ৪ নভেম্বর। তাছাড়া কোচ গম্ভীর অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য বেশি ফোকাস করছেন। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই উড়ে যাওয়ার কথা। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কোচ হিসেবে ভিভিএসকেই পাঠানো হচ্ছে। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে এর আগেও অনেক সফরে গিয়েছেন ভিভিএস। রাহুল দ্রাবিড়ের সময়ে বেশ কিছু সফরে কোচ হিসেবে দারুণ কাজও করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন ভিভিএস। শোনা গেল, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে গম্ভীরের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও নাকি হয়েছে ভিভিএসের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ৩-০ সিরিজ জিতেছিলেন সূর্যকুমার যাদবরা। ওই সিরিজের টিমই প্রায় রাখা হচ্ছে বলেই খবর। সঞ্জু স্যামসন দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সঞ্জুর ইনিংস টি-টোয়েন্টিতে টিমে আপাতত তাঁর জায়গা নিশ্চিত করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও তিনি সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট ভক্তরা।