ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ার সম্ভাবনা নয় জেলায়। ঝড় আসার আগেই তাই এই জেলাগুলির স্কুল ছুটি থাকার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ৭ জেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনার কারণেই ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর ছুটির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, "ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যে সমস্ত জেলা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘'এই ৭ জেলায় প্রভাব খুব বেশি হতে পারে। বৃষ্টি এবং সঙ্গে দমকা হওয়া। সতর্ক ব্যবস্থা হিসেবে ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সাত জেলায় সমস্ত স্কুল ছুটি।" এদিকে ২৭ তারিখ রবিবার। তাই সব মিলিয়ে টানা ৫ দিন ছুটি মিলছে পড়ুয়াদের।
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪
বোতল ভেঙে জখম কল্যাণ!
যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ধুন্ধুমার। ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিজেপি ও তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এমন সময় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সামনে থাকা কাঁচের বোতল ছুড়ে মারেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর। তখনই কাঁচ ভেঙে সাংসদের তর্জনী ও বুড়ো আঙুলে চোট লাগে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় যৌথ সংসদীয় কমিটির পরবর্তী একটি বৈঠকের জন্য তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। সেই আলোচনা ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তখনই সামনে রাখা কাঁচের জলের বোতল ছোড়েন। হাতে চোট পান শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। এর পরই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান কল্যাণ। দেখা যায়, এআইএমআইএমের প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি তাঁকে ধরে নিয়ে বের হন। পাশে ছিলেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। সেখান থেকে বেরিয়ে স্যুপ খেতে দেখা যায় তাঁদের।
তৃণমূল নেতাকে তীব্র আক্রমণ শতরূপের!
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীকে সরাসরি আক্রমণের পথ ধরলেন সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ। ডাক্তাররা কর্মবিরতি করছে। পুলিস একবেলা কর্মবিরতি করলে মানুষ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সিকে বাঁদর নাচ নাচাবে। বেলাগাম আক্রমণ সিপিএম মুখপাত্র শতরূপ ঘোষের। পাগলদের উত্তর দেওয়ার দরকার নেই পাল্টা জেলা তৃণমূল সভাপতি।
সোমবার রাতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর শহীদ মোড় এলাকায় সিপিএমের শ্রমিক কৃষক মহিলা এবং যুব সংগঠনের ডাকে মূলত আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদ-সহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে রাত দখল এবং অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল সিপিএমের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। এর পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা-সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। সাম্প্রতিককালে বারবার জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি সিপিএম সহ বিরোধীদের বেলাগাম আক্রমণ করেছেন। আরজিকরের ঘটনার পরেও তিনি বিরোধীদের বেঁধে পেটানোর নিদান দিয়েছেন। এদিন পাল্ট রহিম বক্সি কে একের পর এক আক্রমণ করলেন শতরূপ।
শতরূপের দাবি, যদি পুলিস সরে যায়, তবে তৃণমূল নেতারা গণপিটুনি দিতে পারবেন না। পাল্টা মানুষ ডুগডুগি বাজাবে।আর রহিম বক্সী বাদর নাচবে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন অনুব্রত! কবে?
এবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এখনই দায়িত্ব ছাড়ছেন না কেষ্ট। ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন করে বীরভূমের জেলা সভাপতির দায়িত্ব ছাড়বেন। সোমবার সিউড়ির ২ ব্লকের পুরন্দরপুরের মাঠে বান্ধব সমিতির সভা থেকে একথা জানালেন অনুব্রত। সিউড়ি ২ ব্লক থেকে সাধারণত নিজের সমস্ত রাজনৈতিক যাত্রা, সভা শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার সেই রীতি ভেঙে তিহাড় জেল থেকে ফিরে প্রথম সভা করেন মুরারইয়ে। সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম আবার অনুব্রতর কাছের বন্ধু। দুজনে প্রায় একসঙ্গেই রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন তাঁরা। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদেও রয়েছেন নুরুল ইসলাম। তিনি ব্লক সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে। এদিন তা নিয়ে মুখ খোলেন অনুব্রত। অনুব্রতর কথায়,"বন্ধু নুরুল, ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে জেলা সভাপতি পদ থেকে আমি সরে দাঁড়াব। তখন তুমিও ব্লক সভাপতি পদ ছেড়ে দিও।"
চোখের অষ্টম অস্ত্রোপচার সফল অভিষেকের!
চোখের চিকিৎসা করাতে বিদেশে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চিকিৎসা প্রক্রিয়া আপাতত শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন বলে খোদ নিজেই জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর সিঙ্গুরের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় দুর্ঘটনার কবলে পড়। চোখে গুরুতর চোট পান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২০২২ সালে অক্টোবর মাসে তাঁর চোখে একটি অস্ত্রোপচার হয়। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে তাঁর চোখের অপারেশন হয়। তবে চোখের সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয়নি। চেক আপ করানোর জন্যেই তাঁকে ফের বিদেশে যেতে হয় বলে জানান হয়। অভিষেক লিখেছেন, "আমার চোখের সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচারের পর সদয় শুভকামনার জন্য আমি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকে আমি আমার দৃষ্টিশক্তি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। এই নিয়ে অষ্টম অস্ত্রোপচার হল। এ বার ভাল ভাবেই হয়েছে সব কিছু। সে কথা জানাতে পেরে আমি খুশি। দ্রুত আরোগ্য এবং দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে কিছু পোস্ট-অপারেটিভ নির্দেশিকা এবং সতর্কতা অনুসরণ করতে হবে। আমি আশাবাদী এবং আন্তরিক ভাবে আপনাদের সমস্ত ভালবাসা, উদ্বেগ এবং সদয় শুভকামনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"
সাগরদ্বীপ থেকে ৭৭০ কিমি দূরে নিম্নচাপ; বুধবার তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়
পুজোর মুখে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের গতিপ্রকৃতির দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন আবহবিদেরা। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ওড়িশার পারাদ্বীপের ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে নিম্নচাপটি। বাংলার সাগরদ্বীপের ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে এটি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আরও ঘনীভূত হয়ে বুধবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপটি। বুধবার দুপুরে এটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করতে পারে বলে অনুমান আবহবিদদের। ফলে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। এখনও অবধি নিম্নচাপটির গতিপ্রকৃতি দেখে আবহবিদদের অনুমান, বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী এবং এই রাজ্যের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। 'ল্যান্ডফলের' সময় এটির সর্বাধিক গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টা ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার সর্বাধিক গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি।
সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
টেস্ট থেকে বিদায়ের ইঙ্গিত? রাহুলের ঘিরে জল্পনা
এমন একটি কাজ করলেন, যাতে অনেকেরই মনে হচ্ছে, টেস্ট ক্রিকেটকে সম্ভবত বিদায় জানাতে চলেছেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে ভারত থেমে যায় মাত্র ৪৬ রানে। ৬ বলে শূন্য করেছিলেন রাহুল। পরে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় ক্যাচও হাতছাড়া করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতকে লড়াইয়ের জায়গায় এনে দিয়েছিলেন সরফরাজ ও পন্থ। কিন্তু তাঁদের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি রাহুল। আউট হয়ে যান মাত্র ১২ রানে। ভারতও টেস্ট হেরে যায়। ক্রিকেট মহলের একাংশের বক্তব্য, রাহুল রান পেলে ভারতের টেস্ট জয় অসম্ভব ছিল না। রাহুলের আত্মবিশ্বাস যে তলানিতে, সেটাও মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তবে ফর্মের বিচার ছেড়ে এখন একটাই প্রশ্ন নেটিজেনদের। আদৌ রাহুল কি আর টেস্ট খেলবেন? কারণ বেঙ্গালুরু টেস্টের পর দেখে যায় নীচু হয়ে পিচ ছুঁয়ে দেখছেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় রাহুলের এই কাণ্ড। নেটদুনিয়ায় জল্পনা, টেস্ট ক্রিকেট থেকে হয়তো বিদায় নিতে পারেন তিনি। পিচ স্পর্শ করে সেটারই ইঙ্গিত দিলেন। অনেকের মনে পড়ছে শচীন তেণ্ডুলকরের বিদায়ী টেস্টের কথাও। কেরিয়ারের শেষ টেস্টে তিনি পিচকে প্রণাম করেছিলেন। ঘটনাচক্রে বেঙ্গালুরু রাহুলের ঘরের মাঠ। ঘরোয়া ক্রিকেটে কর্ণাটকের হয়ে এই মাঠেই কেরিয়ারের সূত্রপাত। আইপিএলের প্রথম দিকে খেলেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। ফলে অনেকে এটাও মনে করছেন, ঘরের মাঠে ফিরতে পেরে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে অবসর জল্পনাই তুঙ্গে নেটপাড়ায়।