কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর দুইবার করে বাড়ে মহার্ঘ ভাতা। একটি লাগু করা হয় ১ জানুয়ারি ও দ্বিতীয়টি ১ জুলাই। শেষবার গত জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। যার ফলে একধাক্কায় ডিএ বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। এর পর ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে ৫৩ শতাংশে পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা। গত জুলাই মাসে এই ডিএ বৃদ্ধির কথা থাকলেও কয়েক মাস দেরিতে এবার ডিএ ঘোষণা করল সরকার। যদিও এর সঙ্গে গত কয়েক মাসের 'এরিয়ার' বা বকেয়াও পাবেন সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা।
বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
ধর্ষণ করে খুন? কৃষ্ণনগরে পুলিশ সুপারের অফিসের কাছে; এলাকায় চাঞ্চল্য
পুলিশ সুপারের অফিসের কাছেই তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। প্রাতঃভ্রমণকারীরা তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পরিচয় লোপাট করতে অ্যাসিড ঢেলে কিংবা আগুন জ্বালিয়ে তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। ওই এলাকায় তরুণীকে খুন করা হয়েছে নাকি অন্যত্র থেকে আনা দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণপাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক মহিলা জানান, লক্ষ্মীপুজো হওয়ায় বাড়িতে কাজ করছিলেন। সেই সময় প্রাতঃভ্রমণকারীরা দেখতে পান তরুণীর দেহ পড়ে রয়েছে। তরুণীর দেহটি যেখানে উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে পুলিশ সুপারের অফিসের দূরত্ব ৫০০ মিটার। আবার একটি দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া এলাকা। তার ফলে এলাকায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। তার পরই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দেখেন এক তরুণী বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তরুণী ২০-২১ বছর বয়সি হবে। দেহ উদ্ধারের সময় পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল। কিছুটা ছিঁড়ে গিয়েছে। আবার কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছে। মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে কিছুই চেনা যাচ্ছে না।
তরুণীর পরিচয় জানা বেশ দুষ্কর। ওই তরুণী এলাকার নাকি বহিরাগত, সে সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করতেও তদন্তকারীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে এলাকার নিরাপত্তা।
সিপিএমকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর বার্তা, 'মাকু-সেকুরা পারবে না... ওরা তৃণমূলের বি টিম!'
রাজ্য সরকারের পুজোর কার্নিভাল বয়কটের ডাক দিয়ে ‘নাগরিক সমাজে'র ব্যানারে মিছিল। সেই মিছিল থেকে ডাক্তারদের দাবিদাওয়া বিধানসভায় তোলার কথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলছেন, ডাক্তারদের দশ দফা দাবি নিয়ে এ বার বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে আলোচনা হোক। এর পাশাপাশি সিপিএমকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর বার্তা, 'মাকু-সেকুরা পারবে না। ওরা তৃণমূলের বি টিম।'
পুজো কার্নিভালের প্রতিবাদ করে শুভেন্দু অধিকারী নাগরিক মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। 'অরাজনৈতিক' সেই মিছিলে এদিন আরও একবার বোঝা গেল বঙ্গ বিজেপির বিভাজন। শুভেন্দুর ডাকে পতাকা ছাড়া মিছিলে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা কার্যত অনুপস্থিতই থাকলেন। গেরুয়াপন্থী বিশিষ্ঠজনেদেরও অবশ্য সেরকম কাউকে দেখা যায়নি মিছিলে। একমাত্র দলের সাংস্কৃতিক শাখার আহ্বায়ক অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ ছাড়া আর ছিলেন শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের কয়েকজন। মিছিলে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং, প্রাক্তন বিধায়ক তাপস রায়, উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষদের। কিন্তু রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের প্রথমসারির কোনও নেতা বা দলের সাংসদরা এই মিছিলে ছিলেন না।
আরজি কর আন্দোলনের আবহে ৬ টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা!
আরজি কর-কাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ঘটনার প্রতিবাদে বারবার পথে নেমেছে নাগরিক সমাজের একটা বড় অংশ। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে গত দুই মাসের বেশি অময় ধরে তাঁরা শামিল হচ্ছেন। আন্দোলনে লাগতে দেওয়া হয়নি রাজনৈতিক রং। তিলোত্তমার বিচার-সহ বিভিন্ন দাবিতে আজও মুখরিত রাজপথ। এই আবহে এবার রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেল। উত্তরে সিতাই, মাদারিহাট থেকে দক্ষিণে নৈহাটি,হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও তালডাংরায় হবে ভোট। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ নভেম্বর ফলপ্রকাশ।
রাহুল গান্ধীর ছেড়ে আসা ওয়ানড় আসনে প্রার্থী হচ্ছেন সোনিয়াকন্যা!
এবার সরকারিভাবে নির্বাচনী রাজনীতিতে পা রাখলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাহুল গান্ধীর ছেড়ে আসা ওয়ানড় আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন সোনিয়াকন্যা। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ওয়ানড়ের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতেই ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে প্রিয়াঙ্কার নাম জানিয়ে দিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। চব্বিশের লোকসভা ভোটে গান্ধী-গড় রায়বরেলি ও নিজের কেন্দ্র ওয়ানড়– দুটি আসন থেকেই লড়েন রাহুল গান্ধী। দুই আসনেই বিশাল ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। একটি আসন তাঁকে ছাড়তেই হতো। শেষ পর্যন্ত মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন রায়বরেলি রেখে ওয়ানড় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। আর দাদার ছেড়ে যাওয়া সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
কেন বুমরাকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে? কী বললেন রোহিত
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম দু'টি টেস্টের কোনও একটিতে খেলতে পারবেন না রোহিত শর্মা। ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে ইতিমধ্যে ছুটিও চেয়ে নিয়েছেন রোহিত। নিউ জিল্যান্ড সিরিজের আগে তা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। যশপ্রীত বুমরাকে সহ-অধিনায়ক হিসাবে পেয়েও খুশি রোহিত। অস্ট্রেলিয়া রোহিত একটি টেস্ট নাও খেলতে পারেন, এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই প্রশ্ন তৈরি হয়, ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন কে? কারণ বাংলাদেশ সিরিজ়ে ভারতীয় দলে কোনও সহ-অধিনায়ক ছিল না। তবে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিতিজে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে বুমরাকে। তা থেকে মনে করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় রোহিতের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেবেন বুমরা। ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড প্রথম টেস্টের আগের দিন রোহিত বলেছেন, 'বুমরা প্রচুর ক্রিকেট খেলেছে। আমরা এক সঙ্গে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। খেলাটা বুমরা বেশ ভাল বোঝে। ওর ক্রিকেট মস্তিষ্কও ভাল। তবে বুমরা খুব বেশি নেতৃত্ব দেয়নি। তাই কৌশলগত ভাবে কতটা ভাল, সেটা বলতে পারব না। দু'একটা টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে ওর সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যায়, ক্রিকেট সম্পর্কে ওর ধারণা কত স্বচ্ছ। ও জানে কখন কোনটা করা দরকার। কঠিন পরিস্থিতিতে নানা পরামর্শও দেয় বুমরা। আমাদের দলে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো জায়গায় যারা রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম বুমরা।"
ডিসি সেন্ট্রালকে ঘিরে বিক্ষোভ ধর্মতলায়!
আজ ধর্মতলায় ডিসি সেন্ট্রালকে ঘিরে বিক্ষোভ, ‘হায় হায়- গো ব্যাক’ স্লোগান। যান চলাভল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে কলকাতা পুলিশ। ধর্মতলার যানজট পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল, তাঁকে দেখেই ধিক্কার 'দ্রোহে' শামিল জনতার, ধর্মতলা কে সি দাসের সামনে ডিসি সেন্ট্রাল-কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ডিসি সেন্ট্রালকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ ফোর্স।
আজ,মঙ্গলবার অনন্য দৃশ্যের সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। জোড়া কার্নিভাল। একটি রেড রোডে পুজোর কার্নিভাল। অন্যটি সেখান থেকে অনতিদূরে ‘'দ্রোহের কার্নিভাল'। রানি রাসমণি রোডে বিকাল সাড়ে চারটে থেকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে 'জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স'। পুজোর কার্নিভালের মাঝেই ধর্মতলায় প্রতিবাদের কার্নিভালে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভিড়। যেদিকে চোখ যায় জনস্রোত। দলে দলে মানুষ যোগ দিচ্ছেন মানববন্ধনে। প্রায় সকলেরই হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। মুখে একটাই স্লোগান, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’।