দুর্ঘটনার মুখে পড়ল কর্নাটকের মাইসুরু থেকে বিহারের দ্বারভাঙাগামী বাগমতী এক্সপ্রেস। শুক্রবার রাতে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ের অদূরে একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে বেলাইন হয়ে যায় ট্রেনটির তিন কামরা। দু'টি কামরায় আগুনও ধরে যায় বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, কাভারাইপেট্টাই রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ওই মালগাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। সে সময় দ্রুতগতির বাগমতী এক্সপ্রেস মালগাড়িটিকে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের কারণে আগুন লেগে যায় দু'টি কামরায়। ঘটনায় বেশ কয়েক জন হতাহত হয়েছেন বলে স্থানীয় একটি সূত্র খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে রেল মন্ত্রকের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪
২ বছর পর গ্রামের বাড়িতে অনুব্রত!
প্রায় ২ বছর পর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে গ্রামের বাড়ির দুর্গাপুজোয় অংশ নিলেন তৃণমূলের হেভি-ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে ঘিরে উপচে পড়ল গ্রামবাসীদের ভিড়। সকলের সঙ্গে কথা বললেন অনুব্রত। যদিও, সম্পর্কিত কাকা প্রয়াত হওয়ায় মন্দিরে উঠলেন না তিনি। দূরে দাঁড়িয়েই প্রণাম করলেন। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "খুব ভালো লাগছে । কিন্তু, মন্দিরে উঠতে পারব না, অঞ্জলি দিতে পারব না। আমার কাকা মারা গিয়েছে তো তাই। সেই কারণে বাইরে থেকেই প্রণাম করলাম। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা হল। এবার পুজো তো রাত্রে। পুজো খুব ভালো কাটাচ্ছি। ফাইন লাগছে।"গোরু পাচার ও আর্থিক তছরুপের মামলায় জামিন পেয়ে ২ বছর পর বোলপুরে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রতি বছর দুর্গাপুজোয় অনুব্রতর গ্রামের বাড়ি, অর্থাৎ নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামে দুর্গাপুজোয় অংশ নিতেন তিনি। ২ বছর অনুব্রতকে ছাড়াই পুজো হয়েছে। এবার পুজোয় অংশ নিলেন অনুব্রত মণ্ডল। মহাষ্টমীর দিন মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি। তবে সম্পর্কিত কাকা প্রয়াত হওয়ায় মন্দিরে উঠলেন না অনুব্রত।
ত্রিধারায় ধৃত ৯ জনকেই অন্তর্বর্তী জামিন দিল আদালত!
শুধুমাত্র হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট এবং প্ল্যাকার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের স্লোগান ঘৃণার নয়। ধর্মীয় ভাবে কাউকে আঘাত করেননি ওরা। অনেক সাধারণ মানুষ ওই স্লোগান দিচ্ছেন। ধৃতদের প্রত্যেকেরই কম বয়স। বেশির ভাগের বয়স ২০-২৫ বছর। অতি উৎসাহে তারা ওই কাজ করে থাকতে পারেন। আরজি করকে কেন্দ্র করেই ওই স্লোগান।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরেই হাসি ফুটল ধর্মতলা চত্বরে আন্দোলন-অনশনে বসা জুনিয়র ডাক্তারদের মুখে। অর্ণব মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরারা অনশনমঞ্চে কেঁদেই ফেললেন। হাতিতালি শুরু হয়। ঘোষণা করা হয়, এই আন্দোলন যেন এ ভাবেই ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে হাই কোর্ট ত্রিধারা-কাণ্ডে নির্দেশ দিয়েছে, আর কোনও পুজো মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ জানানো যাবে না। রাজ্য সরকারের কার্নিভালে ডিস্টার্ব করা যাবে না।
টাটা ট্রাস্টের নতুন চেয়ারম্যান হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটা!
টাটা গোষ্ঠীকে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দিয়েছিলেন রতন টাটা। তিনি কেবল একজন ব্যবসায়ী নন, ছিলেন নতুন পথের দিশারীও। গত বুধবার, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। এর পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, রতন টাটার ছেড়ে যাওয়া বিরাট সাম্রাজ্যের দায়িত্ব নেবেন কে? শুক্রবারই কার্যত মিলে গেল সেই উত্তর। টাটা ট্রাস্টের নতুন চেয়ারম্যান করা হল রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটাকে। এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে ট্রাস্টের বোর্ড দ্বারা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রতন টাটার মৃত্যুর পর তিনটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছিল। তাঁরা হলেন লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটা। কিন্তু রতন বিয়ে করেননি, নিঃসন্তান, তাহলে এই লিয়া, মায়া ও নেভিল কারা? এই তিনজন হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার তিন সন্তান। ইতিমধ্যে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁরা। লিয়া, মায়া ও নেভিলের প্রতি ভরসা দেখিয়েছেন খোদ রতনও। সেই সূত্রেই দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট এবং রতন টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে তিনজনকে নিয়োগের অনুমোদন দেন নিজেই। যদিও বাস্তবে সন্তানেরা নয়, রতনের ছেড়ে যাওয়া জুতোতে পা গলালেন লিয়া, মায়া, নেভিলের বাবা নোয়েল টাটা।
৬৭ বছরের নোয়েল হলেন দোরাবজি টাটা ট্রাস্টের একাদশতম চেয়ারম্যান এবং রতন টাটা ট্রাস্টের ষষ্ঠ চেয়ারম্যান। দেড়শ বছরের বেশি পুরনো সংস্থায় ট্রাস্টের প্রধানের নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, টাটা সন্সের ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে টাটা ট্রাস্টের হাতে। এখানে বলে নিতে হবে যে আকাশ থেকে পড়েননি নোয়েল। তিনি কেবল রতনের সৎ ভাই নন, গত ৪০ বছর ধরে টাটা গ্রুপের বিশ্বস্ত সৈনিকও। সাফল্যের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বর্তমানে টাটা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নোয়েল। এছাড়াও রতন টাটা ট্রাস্ট এবং দোরাবজি টাটা ট্রাস্টের অন্যতম সদস্যও ছিলেন। উল্লেখ্য, দুই টাটা ট্রাস্ট সংস্থার তরফে জনহিতৈষী কাজগুলি পরিচালনা করে থাকে। এবার যার প্রধান হলেন রতনের ভাই নোয়েল। অপরদিকে আগের মতোই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান টাটা সন্সের চেয়ারম্যান থাকছেন নটরজন চন্দ্রশেখরণ। টাটার ঐতিহ্য ও আদর্শ অনুযায়ী উভয় সংস্তা একে অপরের পরিপূরক।
বিধ্বংসী দুই স্পিনার; অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ যুব ভারতের
বিধ্বংসী দুই স্পিনার আনমোলজিৎ সিংহ এবং মহম্মদ এনান। এই দু-জনের দাপটে চিপকে তিন দিনে অনূর্ধ্ব-১৯ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট জিতল ভারত। এনানের লেগস্পিন ও আনমোলজিতের অফস্পিন যুগলবন্দিতে দু'ইনিংসে এল ১৬ উইকেট। যার মধ্যে ন-টি আনমোলজিতের শিকার। এর ফলে অনূর্ধ্ব-১৯ ভারত জিতেছে ইনিংস ও ১২০ রানে। সেই সঙ্গে সিরিজও ২-০ ভারতের যুব দলের পক্ষে। ভারতের প্রথম ইনিংসে করা ৪৯২ রানের জবাবে তৃতীয় দিন অস্ট্রেলিয়ার ১৭ উইকেট পড়ে। প্রথম ইনিংসে তারা করে ২৭৭। ফলোঅন করে খেলতে নেমে থেমেযায় ৯৫ রানে।
আলো কম থাকায় তৃতীয় দিন শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৫০ মিনিট পরে খেলা শুরু হওয়ার সময় ৩২১ রানে পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ১৭১-৩। অপরাজিত জুটি অলিভার পিক-আলেজ়ান্ডার লি-ইয়ং ভালই খেলছিলেন। অধিনায়ক পিক ১৬৩ বল খেলে শতরানও (১১৭) করে ফেলেন। কিন্তু লি-ইয়ংকে (৬৬) আনমোলজিৎ বোল্ড করতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলীয়দের প্রতিরোধ। তার আগে জুটিতে ওঠে ১৬৬। কিন্তু বাকিরা মিলে ফলোঅনও আটকাতে পারেননি। এই ইনিংসে এনান নেন ৬০ রানে চার উইকেট। সমসংখ্যক উইকেট আনমোলজিতের। ৭২ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে কুড়ির ঘরে পৌঁছন মাত্র তিন জন। পাঁচ উইকেট নেন আনমোলজিৎ। তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ১৩.৩-৬-৩২-৫। এনানের শিকার তিন, ৩৭ রানে। এক উইকেট চেতন শর্মার। ম্যাচের সেরা আনমোbলজিৎ। প্রসঙ্গত ভারতের প্রথম ইনিংসে শতরান করেন হরবংশ পাঙ্গালিয়া। তবে যাবতীয় চ র্চাটা এই মুহূর্তে অবশ্য এনান আর আনমোলজিতকে নিয়ে।
ফের মাঠে ফিরলেন মেসি!
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলবেন লিয়োনেল মেসি। ২০২২ সালে তাঁর নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা। এ বার ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলবেন তিনি। ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যেতে পারে এই তারকা ফুটবলারকে। জুলাই মাসে কোপা আমেরিকার ফাইনালে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন মেসি। তার পর থেকে দেশের হয়ে আর খেলতে পারেননি। ৩৭ বছরের মেসি চোট সারিয়ে দলে ফিরছেন। আর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচ ভেনেজুয়েলা এবং বলিভিয়ার বিরুদ্ধে। সেই দু-টি ম্যাচে মাঠে নামবেন মেসি। এর আগে চিলি এবং কলোম্বিয়ার বিরুদ্ধে যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলতে পারেননি তিনি। আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি বলেন, "মেসি এখন সুস্থ। গত কয়েক সপ্তাহে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলেছে। সুস্থ হওয়ার জন্য সময় চেয়েছিল মেসি। সেই কারণেই ওকে আগের ম্যাচগুলো খেলার জন্য দলে ডাকা হয়নি। দলের সঙ্গে অনুশীলন করছে মেসি। আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলার জন্য তৈরি হচ্ছে ও। ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে খেলবে মেসি।"
আন্দোলন আরও তীব্র হচ্ছে; সাধারণ মাণুষকে পাশে চান জুনিয়র ডাক্তাররা
অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে হসপিটাল সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। এমন অবস্থায় আরও জোরালো আন্দোলনের বার্তা দিল 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট'। জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চের তরফে দেবাশিস হালদার নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানালেন সংহতির বার্তা নিয়ে আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে। শুক্রবার বিকেলে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ সংলগ্ন অঞ্চলে এক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। শহরবাসীর উদ্দেশে দেবাশিসের বার্তা, “আমাদের সহযোদ্ধাদের লড়াই ও মানসিক দৃঢ়তার পাশে দাঁড়ান।"
নবমীর বিকেলে ধর্মতলার মোড়ে এই জমায়েতকে এক ‘মহাসমাবেশ’-এর রূপ দেওয়ার ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ওই সমাবেশ যোগ দিতে আসা সাধারণ মানুষদের কাছে লিফলেট তুলে দেবেন তাঁরা। দেবাশিসের কথায়, সেখানে উল্লেখ থাকবে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়ার কথা। উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কতটা যোগ রয়েছে— তা নিয়ে সম্প্রতি একটি মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সে ক্ষেত্রে এই লিফলেট বিলি করে জুনিয়র ডাক্তারেরা বোঝাতে চাইছেন, এই দশ দফা আন্দোলন কেবলমাত্র তাঁদের নিজস্ব ‘'স্বার্থসিদ্ধি'-র আন্দোলন নয়। সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়ার থেকে যে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়া বিচ্ছিন্ন নয়, সেটাই সমাবেশ ও লিফলেটের মাধ্যমে কলকাতা তথা রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে চাইছেন দেবাশিসেরা।