ভাল নেই রতন টাটা? একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে, শিল্পপতি রতনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে ভর্তি রয়েছেন টাটা সন্সের ৮৬ বছরের 'সাম্মানিক চেয়ারম্যান'। সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, রতন অসুস্থ অবস্থায় মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সোমবার সেই দাবি উড়িয়ে দেন শিল্পপতি। সমাজমাধ্যমে তাঁর অ্যাকাউন্টে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, নিয়মমাফিক চেকআপের জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি সুস্থ রয়েছেন। এই নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, 'সম্প্রতি আমার স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা রটেছে। আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, এ সব খবরই ভুয়ো। বিগত কয়েক দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে নিয়মমাফিক চেক-আপের জন্য হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমি সুস্থ আছি। জনগণ এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে অনুরোধ, ভুয়ো খবর ছড়াবেন না।'
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
কেন্দ্রীয় হাসপাতালের এ কী হাল? জয়নগর কাণ্ডে কড়া মন্তব্য হাইকোর্টের
দিল্লি এমস না-হোক, হৃষীকেশ এমসের মতো তো পরিকাঠামো তৈরি করতে পারেন! ঠিক এই ভাষাতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাই কোর্ট। কেন নদিয়ার কল্যাণী এমসে ময়নাতদন্ত করার মতোও পরিকাঠামো নেই, মঙ্গলবার তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তবে শুধু ভর্ৎসনাই নয়, রাজ্যের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে সময়সীমাও দিল উচ্চ আদালত।
. জয়নগর-কাণ্ডে নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্ত কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে করতে চেয়েছিল পরিবার। কিন্তু প্রথমে কমান্ড হাসপাতাল তাদের অসুবিধার কথা জানায়। তার পরে কল্যাণী এমস জানিয়েছিল ময়নাতদন্তের জন্য যে পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা ওই হাসপাতালে নেই। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে নয় বছরের মৃতার ময়নাতদন্ত হয় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে। এমসের চিকিৎসকেরাই কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে গিয়ে মৃতের ময়নাতদন্ত করেন। যার প্রাথমিক রিপোর্টে যৌন নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে খুনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কল্যাণী এমসের এই ‘অবস্থা’ কেন? এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি ঘোষ। হাই কোর্টের প্রশ্ন, একটা ময়নাতদন্ত করার মতো পরিকাঠামো যেখানে নেই, সেই কেন্দ্রীয় হাসপাতালে মানুষের কী লাভ হচ্ছে? কেন এ রাজ্যের মানুষকে চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারত ছুটে যেতে হয়? কেন্দ্রের আইনজীবীর উদ্দেশে কটাক্ষ করে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'অপারেশন থিয়েটার (কল্যাণী এমসে) আছে তো? না কি সেটাও নেই?' বিচারপতি এর পরে বলেন, 'যে হাসপাতালে এমবিবিএস কোর্স করানো হচ্ছে, সেখানকার ডাক্তারি পড়ুয়ারা কোন হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শিখছেন? না কি ময়নাতদন্ত না-শিখেই তাঁরা ডাক্তার হচ্ছেন?'
নবান্নের উপর গণ ইস্তফার চাপ বাড়ছে!
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সংহতিতে সিনিয়রদের গণ ইস্তফার আঁচ এবার গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। শুরু আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে। ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তফা দেন মঙ্গলবার দুপুরে। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই কলকাতা মেডিক্যালেও গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি সিনিয়র ডাক্তারদের। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়রদের দাবি পূরণ না হলে, তাঁরাও গণ ইস্তফা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়রেরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট-এর সাত জন প্রতিনিধি ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশন চালাচ্ছেন ধর্মতলায়। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। প্রথমে ছয় জন অনশনে বসেছিলেন। পরে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোও যোগ দেন আমরণ অনশন কর্মসূচিতে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়াগুলিকে শুরু থেকেই সমর্থন জানিয়ে এসেছেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির সময়ে রোগীর চাপ সামাল দিয়েছেন তাঁরাই। প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় কাজ করেছেন। সিনিয়রদের পরামর্শেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আন্দোলনের অন্য পন্থা খুঁজতে আলোচনা করেছেন জুনিয়রেরা।
ধর্মতলায় অনশনকারীদের পাশেও প্রতীকী অনশনে বসতে দেখা গিয়েছে সিনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সিনিয়র চিকিৎসক কেউ ১২ ঘণ্টা, কেউ ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে শামিল হয়েছেন। মঙ্গলেও তার অন্যথা হয়নি। এরই মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সংহতির বার্তা দিতে গণ ইস্তফার হুঙ্কার আরজি করের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে সিনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে। প্রথম শুরু হয়েছিল আরজি কর থেকে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ল কলকাতা মেডিক্যালেও।
আর জি কর আন্দোলনে বাম যোগ!
আর জি কর নিয়ে আন্দোলনে নামা নিজেদের অরাজনৈতিক, নাগরিক সমাজের বলে দাবি করা চিকিৎসকদের একাংশের সঙ্গে সিপিএমের প্রত্যক্ষ যোগ নিয়ে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন এই রাজ্যের শাসক দল। আর সেই যোগ আরও স্পষ্ট হল সোমবার সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের মুখপত্র যুবশক্তি-র শারদ সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে। এদিন এই শারদ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের মুখ হিসাবে সংবাদ মাধ্যমে ভেসে থাকা চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে উঠে সিপিএমের যুব সংগঠনের নেতৃত্বকে সহযোদ্ধা হিসাবে মন্তব্য করলেন তিনি। এদিন যুবশক্তি-র শারদ সংখ্যার উদ্বোধন ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা ছাড়াও ছিলেন যুবশক্তি পত্রিকার সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত।
অরিত্রের বাড়িতে হামলার অভিযোগ!
বেশ কয়েক বছর আগে টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় শিশুশিল্পী ছিলেন অরিত্র দত্ত বণিক। মহাগুরুর সঙ্গে তাঁর খুনসুটি, দেব-জিতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় এখনও মনে রেখেছে দর্শক। যদিও এখন অভিনয় থেকে দূরে, বরং সোশ্যাল মিডিয়াতেই তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি চোখে পড়ার মতন। যদিও টলিউড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি অরিত্র। বরং ক্যামেরার পিছনে কাজ করেন তিনি।
সামজ, রাজনীতি নিয়ে থেকে দেশের আইন ব্য়বস্থা- সবকিছু নিয়েই ফেসবুকে খোলা মনে মতামত রাখেন অরিত্র। আরজি কর ধর্ষণ নিয়েও বেশ চাঁচাছোলা ভাষায় শাসক শিবিরকে আক্রমণ শাণিয়েছেন অরিত্র। সেই কারণেই কি এবার আক্রান্ত অরিত্রর পরিবার? এদিন ফেসবুক পোস্টে অরিত্র জানান, তিনি বিজেপি করেন, এহেন অভিযোগ এনে তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী।
অরিত্র লেখেন, 'আমি নাকি বিজেপি করি, তাই আমার অবর্তমানে আক্রমণ করা হলো আমার বাড়ির একটি ঘর, দীর্ঘদিন ধরে ঘরটি দখল করে বসে ছিলো কিছু বে-আইনি পাবলিক। রাতভর মদ্যপান চলতো, শুরু হয়েছিলো সিন্ডিকেট অফিস। কোনো অনুমতি নেই কাগজ নেই শুধু থ্রেট আছে। আমরা উচ্ছেদের মামলা করি মামলায় আমরা জয়ী হই। আদালতের নির্দেশে জবরদখলকারীদের বের করে সেই ঘরের মালিকানা আমাদের দিতে আসে আদালতের বেইলিফ।'
অরিত্র জানান, সেই সময় তাঁর বাড়িতে আইন-আদালতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হামলা চলে। তাঁর মা-কে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি লিখেছেন, 'আদালত অমান্য করে আজ আক্রমণ হলো। আমার মা'কে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলা হয়েছে রাতের ঘুম তুলে (কেড়ে) নেওয়া হবে, তৃণমূলের নামে বেপাড়ার গুন্ডাদের উপদ্রব শুরু আমার বাড়িতে। এর পরের উত্তরটা আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে নেবো। অফিস থেকে দ্রুত বাড়ি পৌছে গোটা ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করছি। বেপাড়ার পিন্টুর আমার মাকে ধমক দিচ্ছেন তার ভিডিও ক্লিপ। আমার মা ক্রন্দনরত হাতে পায় ধরছেন ক্রিমিনালের।'
সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪
বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হল গুরুতর অভিযোগ!
আবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হল গুরুতর অভিযোগ। বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের বেশ কয়েক জন কর্মী-সমর্থক। অভিযোগ, ফেরিঘাটের লিজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন হুমায়ুন। সেই সঙ্গে বিধায়কের তরফে দেওয়া ব্যাঙ্কের চেক বাউন্স করেছে বলে অভিযোগ। যদিও বিধায়কের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ ষড়যন্ত্র করেছেন। আইনি পথেই এর জবাব দেবেন তিনি। নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে কতবীর আলি শেখ নামে এক অভিযোগকারী বলেন, "ভরতপুরের লোহাদহ ঘাটে লিজ় পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তবে লিজ় মেলেনি। উল্টে টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাদের যে দুটি চেক (ব্যাঙ্কের) দেওয়া হয়, সেগুলো বাউন্স করে। এটা প্রতারণা।" অভিযোগকারীরা সকলেই ভরতপুর থানার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন হুমায়ুন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে ভারত;আশাবাদী পড়শি দেশ
দু-দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক যেমনই হোক, ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রে আর তা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না বলেই মনে করছেন পাকিস্তান বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। তাঁর দাবি, ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে। শুধু ভারতই নয়, সব দেশই পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে। তবে আগে যে রকম কড়া সুরে এ বিষয়ে কথা বলত সে দেশের বোর্ড তা নরম হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে নকভি জানিয়েছেন, ভারত-সহ সব দেশের জন্য চূড়ান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। তাই এ বার যেন সফর আর বাতিল না করা হয়। নকভি বলেছেন,"ভারতীয় দলের অবশ্যই আসা উচিত। আমার মনে হয় না ওরা বাতিল করবে বা আসা পিছিয়ে দেবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আমরা সব দেশকে স্বাগত জানাতে তৈরি।"
নকভি এ কথা বললেও ভারতীয় বোর্ডের অবস্থান কিছুটা আলাদা। কানপুরে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট দেখতে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল পাঠানো নিয়ে বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্ল বলেছিলেন, "আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতীয় দলের পাকিস্তান সফর নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের উপর। এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যে কোনও বিদেশ সফরের ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি নেওয়াই নিয়ম। ভারতীয় ক্রিকেট দল কোনও দেশে সফরে যাবে কী যাবে না তা ঠিক করে কেন্দ্র। সরকারের সিদ্ধান্তের উপরই সব কিছু নির্ভর করে।"