বীরভূমের বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবার পিছু আর্থিক সাহায্য ঘোষণা রাজ্যের। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, মৃতদের পরিবার পিছু ৩২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। এর সঙ্গে পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। সোমবার সকালে গঙ্গারামচক কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। কিন্তু ভিতরে শ্রমিকরা যে কাজ করছিলেন, তা খেয়াল ছিল না কারও। আর সেই অসাবধানতা থেকেই শ্রমিকরা চাপা পড়ে যান। পরে ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয় সেখান থেকে। পরে আরও দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নেহাৎই অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটল? কয়লা উত্তোলনের জন্য বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় ভিতরে কেউ রয়েছে কি না, তা দেখা হল না কেন? এর দায় কার? বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে এসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেলে নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব মৃতদের পরিবার পিছু আর্থিক সাহায্য ও মৃতদের পরিবারের একজন সদস্যের চাকরির ঘোষণা করলেন। উল্লেখ্য, খয়রাশোলের এই খনিটি পিডিসিএলের লিজ নেওয়া। তা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা।
সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪
অসুস্থ রতন টাটা; কেমন আছেন তিনি?
আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন রতন টাটা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। গতকাল, রবিবার রাতে হঠাৎই রক্তচাপ কমে যায় ৮৬ বছরের রতন টাটার। দ্রুত তাঁকে স্থানান্তর করা হয় মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। সেখানেই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে বর্তমানে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে রতন টাটার খবর নিয়েছেন। বর্ষিয়ান রতন টাটার শারীরিক অবস্থার প্রতি মুহুর্তের খোঁজ রাখছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। যদিও রতন টাটা নিজে জানিয়েছেন, তিনি ঠিক আছেন। মেডিক্যাল টেস্ট চলছে তাঁর। সোমবার সকালে জানা যায়, রতন টাটাকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তিনি আইসিইউ-তে ভর্তি। এই খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা। এর পর এক বিবৃতি জারি করে রতন টাটা জানান, তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে শারীরিক সমস্যার পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি লিখেছেন, "আমার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে বলে জানতে পারলাম। উদ্বেগের কোনও কারণ নেইচ।"
উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে; জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন প্রসঙ্গে বললেন পুলিশ কমিশনার
আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট;মূল অভিযুক্ত হিসাবে এক জনের নামই উল্লেখ
আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট গঠন করল অদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যে সেই চার্জশিট নিয়ে শিয়ালদহ আদালতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। সূত্রের খবর, ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে এক জনের নামই উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ-সহ বেশ কিছু প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। জিজ্ঞাসাবাদে কে কী জানিয়েছেন, সেই বয়ানের তুলে ধরা হয়েছে চার্জশিটে।
নির্যাতিতার মৃত্যুর ৫৮ দিন পর এই চার্জশিট গঠন করল সিবিআই। আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পর থেকে, বিচারের দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা। চলছে অনশন কর্মসূচি। সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মাঝে এক বার বিচারের দাবিতে সিবিআই দফতর অভিযানও করেছেন তাঁরা। এদিন ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকেও জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, তাঁরা সিবিআইয়ের উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না। এমন আবহে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে প্রথম চার্জশিট নিয়ে সোমবার আদালতের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
যদিও সিবিআইয়ের এই চার্জশিট নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা।
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
বাংলাদেশকে উড়িয়ে ৭ উইকেটে জয় ভারতের!
রবিবার ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়েই অভিষেক হল শ্রীমন্থ মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামটির। গোয়ালিয়র পেল নতুন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। যে মাঠে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল সূর্যকুমার যাদবের ভারত।
টেস্ট সিরিজ়ে বাংলাদেশকে দাপটের সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। সেই দলের কাউকেই টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হয়নি। তবুও ভারত খেলল একই রকম দাপটের সঙ্গে। রবিবার অভিষেক হল নীতীশ কুমার রেড্ডি এবং মায়াঙ্ক যাদবের। সূর্যকুমারের নেতৃত্বে তরুণ ভারত কেমন খেলে সেই দিকে নজর ছিল সমর্থকদের। শুরুটা মন্দ হল না। তিনটি করে উইকেট নিলেন বাঁহাতি পেসার আরশদীপ সিংহ এবং তিন বছর পর দলে ফেরা বরুণ চক্রবর্তী। একটি করে উইকেট মায়াঙ্ক, হার্দিক পাণ্ড্য এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের।ভারতের সামনে ১২৮ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করে ভারতীয় ব্যাটাররা। ঝোড়ো ইনিংস শুরু করেও দুর্ভাগ্যবশত রানআউট হন অভিষেক শর্মা। ৭ বলে ১৬ রান করেন অভিষেক। এরপর ক্রিজে এসেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ১৪ বলে ২৯ রান করে আউট হন তিনি। বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট উপহার দেন স্কাই।
ছন্দে পাওয়া যায় ওপেনার সঞ্জু স্যামসনকেও। তিনিও বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলে ১৯ বলে ২৯ রান করে আউট হন। বাকি কাজটুকু করে দেন হার্দিক পান্ডিয়া ও এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া নীতিশ কুমার রেড্ডি। ১৬ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন নীতিশ কুমার রেড্ডি।
মোদির হয়ে প্রচার করতে রাজি হলেন কেজরিওয়াল!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হয়ে প্রচার করতে রাজি হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল! নিজের মুখেই এই কথা বললেন দিল্লির সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে আপ সুপ্রিমো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, সেরকম পরিস্থিতি এলে তিনি মোদির হয়ে প্রচার করবেন। তবে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে ভোলেননি কেজরি। সঙ্গে জানিয়েছেন, জেলে থাকাকালীন তাঁর প্রাণসংশয়ও হতে পারত কারণ ইনসুলিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
রবিবার দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে জনতা কি আদালত নামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেজরি। সেখান থেকে বলেন, "জেলে আমার ইনসুলিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাতে আমার কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারত। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত আমার।" উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ মাস তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন কেজরি। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পান তিনি। জেল থেকে বেরিয়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন কেজরি। তার পরে পুরোদমে নেমে পড়েন নির্বাচনী প্রচারে।
"বিচার কোনও জাদুকাঠি নয়, এটা ধাপে ধাপে হয়": আদালত
"বিচার কোনও জাদুকাঠি নয়, এটা ধাপে ধাপে হয়।" এদিন জয়নগরকাণ্ডের শুনানিতে এমনই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করল কলকাতা হাই কোর্ট। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে মেয়ের দেহের ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন মৃতার বাবা। সেই দাবি মেনে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পুলিশ। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ মেনে রবিবারই জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি হয় হাই কোর্টে, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। আরজি করের ঘটনার পর দ্রুত বিচার চেয়ে গোটা রাজ্যের নানা প্রান্তে পথে নেমেছে মানুষ। এই আবহে হাই কোর্টের 'বিচার কোনও জাদুকাঠি নয়' মন্তব্যকে অর্থবহ এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এদিনের শুনানিতে নির্যাতিতার বাবার হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। মায়ের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। বিল্বদল জয়নগরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান। নির্যাতিতার বাড়িতে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে সওয়াল করেন শামিম। তিনি দ্রুত বিচারের দাবি জানান। দুই আইনজীবীর সওয়ালের পর বিচারপতি বলেন, "বিচার কোনও জাদুকাঠি নয়, এটা ধাপে ধাপে হয়। অনেকেই মনে করছেন, তাঁরা যাঁকে দোষী মনে করছেন, তাঁকেই শাস্তি দিতে হবে। এটা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে Tshirt বড় সমস্যা।"