ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে উঠল একাধিক প্রশ্ন। এবার গরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন এনামুল হক। সোমবার ইডির করা মামলায় তাঁকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগেই সিবিআইয়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার শুনানি!
এদিন সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার শুনানি। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শুনানি হওয়ার কথা ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে সমস্ত পক্ষের মতামত নিয়ে তা পিছোতে রাজি শীর্ষ আদালত।
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বামপন্থী দিশানায়েকই শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট!
দুই রাউন্ডের হাড্ডাহাড্ডি ভোটগণনা। এর পর টানটান উত্তেজনার পরে অবশেষে নির্বাচিত হলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট। দ্বীপরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতে চলেছেন কোনও বামপন্থী নেতা।
'আজকের মধ্যে ময়নাতদন্ত না হলে রক্তবন্যা বয়ে যাবে', ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে বলেছিলেন কে? নয়া বিতর্ক
আরজি করের চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের দলের অন্যতম চিকিৎসক ছিলেন অপূর্ব বিশ্বাস। রবিবার ফের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে।
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'ঘটনার দিন মেয়ের কাকা পরিচয়ে একজন সেখানে উপস্থিত ছিল। যে বলেছিল সেদিন পোস্টমর্টেম না হলে রক্তবন্যা বয়ে যাবে। বাড়ির লোকই চাপ দিয়েছিল তাই তাড়াতাড়ি পোস্টমর্টেম হয়েছিল। সেই ব্যক্তি একজন এক্স কাউন্সিলর। তবে তাঁর নাম বলতে পারব না।' কে ছিলেন সেই এক্স কাউন্সিলর তা বলেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক জানান, 'নাম বলতে পারব না। ওই দিন মেয়ের কাকা পরিচয়ের একজন, নট ব্লাড রিলেটেড।' ওই কাউন্সিলর নির্যাতিতার এলাকারই এবং সেই বলেছিল ওই দিনেই পোস্টমর্টেম করতে হবে, জানান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস।
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ভাষা সমস্যায় জামিন পেলেন অনুব্রত? ইডি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
প্রমাণের অভাব, সওয়াল যুক্তির মারপ্যাঁচও নয়৷ অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে ভাষা সমস্যা! শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত গরু পাচার মামলায় জামিন দিয়েছিল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে৷ আজ আদালতের লিখিত নির্দেশ অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীদের হাতে ইতিমধ্যে এসেগিয়েছে। সেই নির্দেশিকাতেই ভাষা সমস্যার কথা স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন বিচারক। আর এখানেই ইডি-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে প্রথম গ্রেফতার করে সিবিআই। এর পর তৃণমূল নেতাকে একই মামলায় হেফাজতে নিয়েছিল ইডি।
কিন্তু কোন ভিত্তিতে জামিন পেলেন অনুব্রত? আদালতের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, গরু পাচার মামলার সাক্ষীরা ইডি-র কাছে বাংলায় বয়ান দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন সময় পেয়েও ইডি নাকি সাক্ষীদের সেই বয়ান বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারেনি। ইংরেজিতে নথি না থাকায় বিচারও শুরু করা যায়নি। এমন কি, এই অনুবাদ করার জন্য আদালতের থেকে সময় চেয়েছিলেন ইডি-র হয়ে সওয়াল করা বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি। তার পরেও সাক্ষীদের বয়ানের ইংরেজি তর্জমা করে উঠতে পারেনি ইডি। ইডি মামলায় এক বছর আগেও জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু ২০২৩ সালের মে মাসের সেই জামিনের আবেদন খারিজ হয়। তার পরে গত এক বছরেও ইডি-র মামলায় বিচার শুরু হয়নি। বিচার শুরু হলেও তাতে লাগবে অনেক সময়। আর সেই কারণেই কার্যত জামিন মঞ্জুর হল অনুব্রত মণ্ডলের। আর এখানেই ইডি-র ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। অনুব্রতকে জামিনের নির্দেশ দিতে গিয়ে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণেরও উল্লেখ করেছেন বিচারক।
আরজি-কর কাণ্ডের প্রতিবা করার জেরেই ২ ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দিলেন তৃণমূলের অধ্যাপক নেতা!
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দিলেন এক অধ্যাপক। তিনি আবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া সারদামনি মহিলা মহাবিদ্যাপীঠে। তৃণমূলী অধ্যাপকের নাম শ্যামল সাঁতরা।
শেষ দেখা গিয়েছিল আরজি করের সেমিনার রুমে; এবার সিবিআই দফতরে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক
আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে এদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন বিতর্কিত চিকিৎসক অভীক দে। সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ এই চিকিৎসককে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের দিন আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে দেখা গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তার পর থেকে অভীক দে-র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অভীক দে-কে সাসপেন্ডও করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এ দিন দুপুর দুটো নাগাদ সিজিও-তে পৌঁছন অভীক দে। এ দিন সকালেই সিজিও-তে হাজিরা দিয়েছিলেন আর এক বিতর্কিত চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। অভীকের মতো বিরূপাক্ষকেও ঘটনার দিন আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে দেখা গিয়েছিল।
আরজি কর কাণ্ডের সময় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন অভীক। ফলে ঘটনার দিন সকালে তিনি আরজি কর হাসপাতালে কী কারণে পৌঁছলেন, সেটা জানাই লক্ষ্য সিবিআই-এর তদন্তকারীদের। ঘটনার পরে অবশ্য অভীক দে-কে এসএসকেএম হাসপাতালে বদলি করা হয়। তবে আরজি কর কাণ্ডে নাম উঠে আসার পর থেকে কার্যত অন্তরালে ছিলেন অভীক দে। বিতর্কিত এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে।