বিধায়ক সত্যজিৎ খুনে অভিযুক্তের কয়েকজন বেকসুর খালাস পেয়েছে। সেই খবর জানতে পেরে বাকরুদ্ধ সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালী বিশ্বাস। তিনি বলেন,"খুনের বদলা ফাঁসি, আদালত যদি এই রায় দিত তাহলে অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন বুঝতেন স্বজনহারার বেদনা কাকে বলে।'' এর পরে তিনি আরও বলেন,"দল ও আইন ব্যবস্থার প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে... আশা করি আমার স্বামীর খুনিরা উপযুক্ত শাস্তি পাব।" তিনি আরও বলেন, "আমার স্বামী তো কোন দোষ করেনি।
বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে বেকসুর খালাস ৩;হতাশ নিহতের স্ত্রী
অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা;সন্ধে সাড়ে ৬টায় ফের বৈঠক নবান্নে
ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিল রাজ্য সরকার। গতকাল জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, সব দাবি পূরণ না হওয়ায় তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কর্মবিরতিও প্রত্যাহার করা হবে না। নিজেদের সিদ্ধান্তর কথা ই মেল করে রাজ্য সরকারকে জানিয়েওছিলেন তাঁরা।
জুনিয়র চিকিৎসকদেকর পক্ষ থেকে এই ই মেল পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার জবাব দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই ই মেলে জুনিয়র চিকিৎসকদের সন্ধে সাড়ে ৬টায় নবান্নে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এ দিনের বৈঠকে সম্ভবত থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার কলতান? রাজ্যের থেকে জবাব তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট
বাম যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তকে কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়ে এ বার রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার চক্রান্ত সংক্রান্ত একটি ফোনালাপের অডিয়ো ক্লিপ সম্প্রতি সামনে আনেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এর পরেই কলতানকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর পুলিশ। বাম যুবনেতার গ্রেফতারির বিরুদ্ধে ও তাঁর জামিনের দাবিতে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল।
গত শুক্রবার ওই অডিয়ো ক্লিপটি প্রকাশ্যে এনেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। পরে ওই অডিয়ো ক্লিপের সূত্র ধরে
স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে ওই মামলায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জীব দাস নামে একজনকে। পরে শনিবার ভোরে গ্রেফতার হয়েছিলেন কলতান। বুধবার হাই কোর্টে বিচারপতি ভরদ্বাজের এজলাসে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, একই অভিযোগের ভিত্তিতে দু-জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখানেই বিকাশের যুক্তি, পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে সঞ্জীবকে গ্রেফতার করেছিল। পরে সঞ্জীবকে জেরা করে কলতানের নাম পেয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু সঞ্জীবকে জেরার আগেই এফআইআর কপিতে বাম যুবনেতার নাম ছিল কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিকাশরঞ্জন। যদিও গ্রেফতার করার সময় পুলিশকে যে সব সময় আগে ৪১(এ) নোটিস দিতে হবে, তা ঠিক যুক্তি নয় বলে পাল্টা যুক্তি দেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি জানান, সন্দেহজনক কোনও ক্ষেত্রে গ্রেফতারির সময় তা বাধ্যতামূলক না-ও হতে পারে। এই মামলাটির ক্ষেত্রে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা ভাবা হয়েছে বলেও জানান তিনি। কোনও বেআইনি কাজ হয়নি বলেই আদালতে জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল। রাজ্যের আইনজীবী আরও জানান, ধৃত সঞ্জীবই পুলিশকে জানিয়েছিলেন কলতানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই কলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এমনকি সঞ্জীবের কলরেকর্ড থেকে কলতানের নম্বর পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি। দু-পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কলতানের গ্রেফতারির কারণ নিয়ে রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।