দ্বাদশ শ্রেণির পাশাপাশি একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও ট্যাব কিনতে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল নবান্ন। প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছিল প্রশাসন। রাজ্যের সব ট্রেজারিতে টাকা পাঠানোর কাজও সেরে ফেলেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। ঠিক ছিল আগামী বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো শুরু হবে। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা বাতিল করেছে শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই সব ট্রেজারিকে সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত বদল তা স্পষ্ট করা হয়নি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে।
মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
আদালত চত্বরে সন্দীপ ঘোষকে সপাটে চড়!
আরজি কর আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধষর্ণ ও খুনের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভের পারদ বাড়ছে গোটা রাজ্য জুড়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজাম প্যালেস থেকে সন্দীপ ঘোষকে আদালতে নিয়ে আসে সিবিআই। সেইসময় আদালত চত্বরে হুলুস্থুল পরিস্থিতি বেঁধে যায়। আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান। সন্দীপ ঘোষের ফাঁসির দাবিতে সরব হন। ধাক্কাধাক্কি করা হয় সন্দীপের গাড়ি। এর পরে আদালত সন্দীপকে আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। সন্দীপকে আদালত থেকে বার করার সময়েই ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। আদালত চত্বরের চতুর্দিকে তখন 'চোর চোর' স্লোগান। কার-ও বা মুখে 'মর-মর' অভিশাপ। একদল মানুষ সন্দীপের দিকে তেড়ে যান। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। সেই সময়েই কোনও এক বিক্ষোভকারী সন্দীপের মাথায় পিছন থেকে চড় মারে। যদিও দ্রুত পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কড়া ঘেরাটোপে সন্দীপকে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন সিবিআই কর্তারা।
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বামেদের; শ্যামবাজারে ধুন্ধুমার
আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে বামেদের মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার ধর্মতলা চত্বর। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বাম কর্মী- সমর্থকরা। শ্যামবাজারের কাছে পুলিশ মিছিল আটকাতেই রাস্তার উপরে বসে পড়েন বাম নেতা কর্মীরা।
এ দিন রাজাবাজার থেকে আরজি কর হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিল করার ঘোষিত কর্মসূচি ছিল বামেদের। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতো সিনিয়র নেতারাও এ দিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। মিছিল আটকাতে একাধিক ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ।
সিপিএম নেতা প্রতীকুর রহমান বলেন, এই পুলিশ আরজি করে খুন, ধর্ষণ আটকাতে পারে না। ভাঙচুর আটকাতে পারে না। কিন্তু সাধারণ মানুষকে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে মামলা দিতে পারে। মানুষ যেভাবে ক্ষেপে গিয়েছে, তাতে কিছুদিনের মধ্যে এই ব্যারিকে়ড পুলিশেরই কাজে লাগবে।
সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ড; গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ
আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এ দিন সন্ধ্যায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা হয় বলে জানা গিয়েছে।
গত ৯ অগস্ট আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নানা মহলে। গত ১৫ অগস্ট তাঁকে প্রথম বার তলব করে সিবিআই। সে দিন হাজিরা দেননি সন্দীপ। পর দিন অবশ্য রাস্তা থেকে সোজা সিবিআইয়ের গাড়িতে ওঠেন তিনি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে। তার পর থেকে ২৪ অগস্ট পর্যন্ত টানা ১৪ দিন তাঁকে তলব করা হয় সিজিওতে। দৈনিক ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সিবিআই দফতরে থাকতে হয়েছিল সন্দীপকে।
হাসপাতাল এমন হয়... যদি আগে জানতাম মেয়েকে ডাক্তারি পড়াতাম না: বিস্ফোরক মৃতা চিকিৎসকের বাবা এবং মা
মেয়েকে হারানোর পর প্রায় তিন সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। অগস্ট গড়িয়ে সেপ্টেম্বর মাস হল। কলকাতা তো বটেই, রাজ্য জুড়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে নাগরিক সমাজ। তাঁদের সবাইকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েও মৃতা চিকিৎসকের বাবা-মা। জানালেন, আগে এত কিছু জানলে মেয়েকে ডাক্তারিই পড়াতেন না।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে ২৩ দিন। রোজই পথে নামেছেন সাধারণ মানুষ। আন্দোলন অব্যাহত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। বিচারের দাবিতে সোমবার 'লালবাজার অভিযান'-এর ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। দুপুর ২টোয় কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল করে লালবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। তাঁদের ঠেকাতে লোহার ব্যারিকেড ব্যবহারের নিন্দা করেন মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা।
রাস্তায় জুনিয়র ডাক্তারদের 'অভিযান'; নবান্নতে জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
জুনিয়র ডাক্তারদের লালবাজার অভিযানের আবহে মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যসচিব বৈঠক হল নবান্নে। মূলত পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্য সচিব বৈঠক হয়েছে জানা গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা কেমন চলছে? স্বাস্থ্য সচিবের থেকে জেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী, সূত্রের খবর এমনই।
রাজ্যের কোন কোন হাসপাতালে কোথায় কোথায় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে? অস্ত্রোপচার সব জায়গায় হচ্ছে? প্রত্যেকটি হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকদের উপস্থিতি কেমন? স্বাস্থ্য সচিবের থেকে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে খুব শীঘ্রই অর্থের অনুমোদন করা হবে। স্বাস্থ্য সচিবকে এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যসচিবের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন স্বাস্থ্য সচিব।
'এই বাংলাই দেখতে চেয়েছিলাম'; সাফ জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী।
দিন পনেরো আগেই আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেছিলেন, "বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারাচ্ছি।" তবে বিগত তিন সপ্তাহে বাংলার প্রতিবাদী সত্ত্বা দেখে এবার মত বদলে নিলেন তিনি।