২০২০ সালে এসএলএসটির ৪৬৫ টি শূন্য পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২০২১ সালের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। নবম এবং দশম শ্রেণীর সাঁওতালি মিডিয়ামে কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদ ছিল ১৯টি। মামলাকারী শিবরাম সিনহা-সহ ৮ চাকুরীপ্রার্থী তারা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেধা তালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীদের তাদের এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ভেরিফিকেশন হয়।
বেশকিছু চাকরিপ্রার্থী মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তরা নিয়োগপত্র না পাওয়ায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানান। এর পরে নিরুপায় চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন। মামলাকারী শিবরাম সিনহা-সহ আট জন চাকরি প্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান,১৯টি শূন্য পদ ছিল এবং তার মধ্যে ১৭ জনের চূড়ান্ত মেধাতালিকায় মামলাকারীদের নাম ও নথিভুক্ত ছিল। সে ক্ষেত্রে সকলেরই নিয়োগ পাওয়ার কথা। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মামলাকারীদের সমস্ত তথ্য যাচাই করে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। পাশাপাশি মেধাতালিকায় তাদের নাম থাকা সত্ত্বেও তাদের বঞ্চিত করে ওই শূন্য পদে কারা নিয়োগ পেলেন? তিনি দাবি করেন,"আদালতে স্বচ্ছ নিরপেক্ষের তদন্তের প্রয়োজন আছে"।
বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় এজলাসে একাধিকবার রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও তারা আদালতে নির্দেশ এড়িয়ে গিয়েছে। বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় তার নির্দেশ নামায় জানিয়েছেন মামলাকারীরা মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরেও তারা নিয়োগ থেকে কেন বঞ্চিত হলেন? পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন আবেদনকারীদের আবেদন দীর্ঘদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ফেলে রাখতে পারে না। অবিলম্বে বিষয়টি ৬ সপ্তাহের বিষয়টি খতিয়ে দেখা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।