আন্তর্জাতিক আদালতে সম্ভবত হার বিনেশ ফোগাটের। সরকারি ভাবে রায় ঘোষণা না হলেও সূত্রের খবর এমনটাই। তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্রীড়াক্ষেত্রের সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (ক্যাস) আবেদন করেছিলেন তিনি।
বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪
ফাঁসির দাবিতে এবার রাজপথের নেত্রী মমতা!
আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দাবিতে এবার পথে নামছে তৃণমূল নেতৃত্ব। 'আমি নিজে মিছিল করব', বললেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, 'আগামী রবিবারের মধ্যে সিবিআইকে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে।
সোমবার আরজি করের নিহত চিকিত্সকের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। এর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'রবিবারের মধ্যে যদি পুলিশ এই কেসের সুরাহা করতে না পারে তাহলে আমরা এই কেস সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেব'। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আরজিকর মামলা সিবিআই তদন্তে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এদিকে যেদিন আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত শুরু করল সিবিআই, সেদিনই দোষীদের ফাঁসির দাবিতে তৃণমূলের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মমতা। এদিন হাজরা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তৃণমূলনেত্রী বলেন, '১৭ তারিখ সব ব্লকে ব্লকে মিছিল হবে দোষীদের ফাঁসি চেয়ে।এবং রাম বামের চক্রান্তের বিরুদ্ধে। ১৮ তারিখ ব্লকে ব্লকে ধর্ণা হবে। ১৯ তারিখ রাখি বন্ধনের মধ্যে দিয়ে দোষীদের ফাঁসি চাই এই প্রোগ্রাম হবে।'
আবার নতুন কোচ পেল ভারত!পড়ুন
ভারতের বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার মরনে মরকেল। ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের পছন্দের তালিকায় ছিলেন এই বিখ্যাত পেসার। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের আগে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
মরকেলকে বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে বিসিসিআই। ১লা সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর চুক্তি শুরু হতে চলেছে। শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পেস বোলিং কোচ ছিলেন মরকেল।
বিশ্বকাপে ব্যর্থতায় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। গম্ভীর গত মাসে ভারতের হেড কোচের চেয়ারে বসেছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৮৬টি টেস্ট, ১১৭টি ওয়ানডে ও ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মরকেল। গম্ভীরের সঙ্গে মরকেলের কাজের সম্পর্কটাও দারুণ বলেই জানা গিয়েছে। দুজনে একসঙ্গে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি লক্ষনউ সুপার জায়ান্টসে কাজ করেছেন।
মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪
বাংলার অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ঋদ্ধিমান!
এক সময় বাংলার গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। মেনে চলেন বলেই চল্লিশ ছুঁইছুঁই বয়সে নিজের রাজ্য বাংলায় ফিরে এসে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাইছেন। তিন ফরম্যাটেই খেলতে চাইছেন। চালিয়ে যেতে চাইছেন আইপিএলে খেলাও।
প্রসঙ্গত, সিএবি-র এক কর্তার সঙ্গে ঝামেলার জেরে দু-বছর আগে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। সে রাজ্যের হয়ে খেলার চাপ বাংলার থেকে অনেকটাই কম। অনায়াসে ত্রিপুরার হয়ে বাকি জীবন খেলে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে পারতেন। তা না করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, স্ত্রী রোমি এবং আরও কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীর কথা শুনে বাংলায় ফিরেছেন। আবার রাজি নিজের রাজ্যের হয়ে সেরাটা দিতে।
আরজি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ!
আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তেরই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলার কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি হাই কোর্ট জানায়, রাজ্যের হাতে থাকা সব তথ্য এবং নথি সিবিআইকে দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, যে সব সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল পুলিশ, তা-ও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে।
আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
মঙ্গলবারের শুনানিতেই মৃতার পরিবারের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, প্রথমে পরিবারের কাছে কেউ এক জন ফোন করে বলেন, আপনাদের মেয়ে অসুস্থ। তার পরে আবার ফোন করে বলা হয়, আপনাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সেই প্রসঙ্গে আদালতে রাজ্য সরকার জানায়, পরিবারের দাবি সঠিক। দু-বার ফোন গিয়েছিল মৃতার পরিবারের কাছে। হাসপাতালের সহকারী সুপারই মৃতার পরিবারকে ফোন করেছিলেন বলে আদালতে জানায় রাজ্য। তবে ফোনে কী বলা হয়েছিল, তা নিয়ে আদালতে কিছু বলেনি রাজ্য।
ইস্তফার কয়েক ঘন্টা পরেই ফের বহাল! সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়
ইস্তফার কয়েক ঘন্টা পরেই ফের বহাল! আরজি করের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া বিতর্কিত সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে পাঠাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফত। এর পাশাপাশি খারিজ করা হল সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফার আর্জিও। তাঁর জায়গায় আরজি করের অধ্যক্ষের দায়িত্বে এলেন সুহৃতা পাল। তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রবিবারই আরজি করের সুপারকে বদলি করেছে স্বাস্থ্যভবন। চাপের মুখে সরে যান অধ্যক্ষও।
সোমবার আরজি করের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন সন্দীপ ঘোষ। সরকারি চাকরি থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান তিনি। সোমবার সকালে স্বাস্থ্যভবনে ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশনের সঙ্গে দেখা করেন সন্দীপ ঘোষ। তারপর স্বাস্থ্যসচিব নারায়নস্বরূপ নিগমের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন।
এর পরেই স্বাস্থ্য ভবন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় আরজি করের অধ্যক্ষের দায়িত্ব এলেন স্বাস্থ্য ভবনের ওএসডি সুহৃতা পাল। সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় গতবছর তাঁকে মুর্শিদাবাদে বদলি করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই অবশ্য আরজি করে ফিরে আসেন তিনি।
গত মার্চ মাসে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে এই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধেই রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। টেন্ডারের ক্ষেত্রে অনিয়ম এবং একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, এমনকী আর জি কর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাজনিত বর্জ্য, অর্থাৎ মেডিক্যাল ওয়েস্ট কোটি কোটি টাকায় পাচার করা হত বাংলাদেশে। অভিযোগ বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল।
যদিও এদিন অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সন্দীপ ঘোষ দাবি করেন, আরজি করে দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা ভাঙতে গিয়েই রাজনীতির শিকার তিনি। তাঁক সরানোর পিছনে কার হাত রয়েছে? আন্দোলনের আড়ালে কোন নেতা লুকিয়ে? সরাসরি কারও নাম নিতে না চাইলেও, আরজি করের এক প্রাক্তনীর দিকেই ইঙ্গিত সন্দীপ ঘোষের। আরজি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষের আরও দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিকল্পতিভাবে দুর্নাম করা হচ্ছে। এরপরেও স্বাস্থ্য দফতরে সন্দীপ ঘোষের প্রভাব নিয়ে চর্চা থামছে না। চর্চা থামছে না তাঁর তোলা অভিযোগ নিয়েও।
এদিকে সন্দীপ ঘোষকে কোনও মতেই নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে মেনে নেবে না, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা এই দাবিতে প্রিন্সিপাল রুমের সামনে সকাল থেকে বসে রয়েছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। সন্দীপ ঘোষের কুশ পুতুল বানিয়ে সেখানে পড়ানো হয়েছে জুতোর মালা। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজেও গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পড়ুয়ারা। সোমবার রাতে অধ্যক্ষের ঘরে তালাও লাগিয়ে দেয় ছাত্র-ছাত্রীরা।
মুখ্যমন্ত্রী উপরই আস্থা; সন্দেহের তালিকায় কারা;মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা
সোমবার দুপুরেই উত্তর চব্বিশ পরগণার সোদপুরে আর জি করের নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্যাতিতার বাবা মা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর পরেই কলকাতা পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সাত দিনের মধ্যে কিনারা না হলে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হবে।
সোমবার সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'আমরা এই মামলাটা ফাস্টট্র্যাক কোর্টে তুলব যাতে দ্রুত বিচার হয়। দোষীর ফাঁসি চাওয়া হবে৷ কিছু লোক এখনও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে আছে। মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া যে কত বড় অপরাধ, তার উপর এরকম অত্যাচার করেছে। ওখানে নার্সরা ছিলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা ছিলেন, তার পরেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল আমি এখনও বুঝতে পারছি না।'