বাংলাদেশে অস্থিরতা। প্রতিদিন স্থল বন্দরগুলিতে ১৪-১৬ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ। সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কী হবে ভারত বাংলাদেশ পণ্য আমদানি-রফতানির ভবিষ্যৎ? অনিশ্চয়তায় ভুগছেন ট্রাক মালিক থেকে ট্রাক চালকদের একটা বড় অংশ।
বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪
অন্যত্র যাওয়ার পরিকল্পনা নেই হাসিনার; আপাতত ভারতই আশ্রয়স্থল
আপাতত নয়াদিল্লিতেই থাকছেন বাংলাদেশের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, "ভারত থেকে অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা নেই তাঁর।" বস্তুত, মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেওয়া বার্তায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাজনৈতিক আশ্রয়ের নির্দিষ্ট সুরাহা না-হওয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকবেন মুজিব-কন্যা। আপাতত হাসিনার ব্রিটেনে যাওয়ারও সম্ভাবনা আর নেই।
মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০২৪
'আর ফিরতে চান না বাংলাদেশে'; সাফ জানালেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়
ক্রমাগত গণ আন্দোলনের অভিঘাতের মুখে পড়ে সোমবারই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিরাপত্তার খাতিরে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতির ময়দান থেকে তাঁর মায়ের অবসর গ্রহণের কথা ছিল। সেই সঙ্গে জয় এ-ও জানালেন যে, "বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, তা নিয়ে বেশ হতাশ ছিলেন হাসিনা। তিনি আর বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান না।" জয় জানিয়েছেন যে, গত রবিবার থেকেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ভেবে রেখেছিলেন মুজিব-কন্যা হাসিনা। সোমবারেই তা ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু পথে থাকা আন্দোলনকারীদের জন্য আর সেটা করার সময় পাননি তাঁর মা। এখানেই শেষ নয়, আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার জন্য যে শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্তের পক্ষ নিয়ে জয় আরও জানান যে, "আপনারা শুধুমাত্র গতকালই ১৩ জন পুলিশকর্মীকে পিটিয়ে মেরেছেন। তাহলে আপনাদের কী মনে হয়, উন্মত্ত জনতা যখন পিটিয়ে মারছে, তখন পুলিশের কী করা উচিত?" জয় বলে চলেন, উনি (হাসিনা) তো বাংলাদেশের ভোল বদলে দিয়েছিলেন। যখন তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন তো বাংলাদেশের অবস্থা একেবারেই ভাল ছিল না। দরিদ্র দেশ ছিল। আর আজকের দিনে এশিয়ার উদীয়মান এবং প্রগতিশীল দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪
বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী!
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের আর্জি, "সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করছি। বিষয়টা ভারত সরকারের অধীনে। ওরা যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা মেনে চলব।" সোশাল মিডিয়ায় পোস্টের ক্ষেত্রে বিজেপি নেতৃত্বকেও সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিলেন তিনি। উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। একদিকে ঢাকার রাস্তায় 'স্বাধীনতা'র বিজয় উল্লাস চলছে। অন্যদিকে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হচ্ছে 'বঙ্গবন্ধু' মুজিবর রহমানের মূর্তি। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে শান্ত ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "আমাদের বাংলায় কেউ যেন কোনও উত্তেজনা না করায়। উত্তেজনায় পা না দেয়। বিষয়টা ভারত সরকারের অধীনে।
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, "ভারত একটা দেশ। বাংলাদেশ একটা দেশ। পড়শি রাজ্য, দেশে যাই হোক তা পাশের রাজ্য বা দেশে পড়েই। সেক্ষেত্রে শান্ত থাকতে হবে। সব সন্তানরা ভাল থাকুন। সকলেই আমাদের ভাইবোন। বাংলাদেশের ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। দুই দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য হোক। শান্তি রক্ষা করা হোক।"
লজ্জার হারের পর মুখ খুললেন রোহিত!
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে লজ্জার হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে রোহিত বাহিনীকে। ২৪১ রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ২০৮ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। একাই ৬ উইকেট নিয়ে টিম ইন্ডিয়াক তারকা সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনকে ধরাশায়ী করে দেন শ্রীলঙ্কার স্পিনার জেফ্রে ভ্যান্ডারসে। এই হারের ফলে স্বভাবতই হতাশ অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও গোটা দল। ম্যাচে শেষে নিজের হতাশা ও যন্ত্রণার কথা জাহিরও করলেন রোহিত শর্মা।
ওবিসি সংরক্ষণ মামলা; স্থগিতাদেশ মিলল না
ওবিসি সংরক্ষণ মামলায় রাজ্য সরকারের আর্জি মেনে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সর্বোচ্চ আদালত। স্থগিতাদেশ না দিয়ে রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত।
বদলাব না; হারের পরও সাফ জানালেন রোহিত শর্মা
ভারতীয় দলের 'মিশন লঙ্কা-বধ' ওডিআই সিরিজে আর হচ্ছে না। রোহিত শর্মার ভারত দ্বিতীয় ওডিআইতে হেরে যেতেই এ আশা শেষ হয়েছে। সিরিজে পিছিয়ে পড়ার পরও ভারত অধিনায়ক পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি কিন্তু স্ট্র্যাটেজি বদলাবেন না। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৩২ রানে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচ হেরেছে ভারত।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন রোহিত শর্মা। শেষ অবধি ৪৪ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। কিন্তু তা দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ম্যাচের শেষে রোহিত বলেন, 'আমি ৬৫ রান করতে পেরেছিলাম, কারণ আমি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিং করছিলাম। মাঝে মাঝে এটা প্রয়োজন হয়। ১০০ রান করি বা ৫০ কিংবা শূন্য যখন দল না জেতে অত্যন্ত হতাশ লাগে। কিন্তু তা হলেও আমি আমার ব্যাটিংয়ে ঝুঁকি নেওয়া বদলাব না।'
ভারত অধিনায়ক রোহিত স্বীকার করে নিয়েছেন, দ্বিতীয় ওডিআইতে টিম ইন্ডিয়া ভালো খেলতে পারেনি। তাঁর কথায়, 'আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। যে কারণে আমরা হেরেছি। এই পিচে রান করাটা বেশ কঠিন। মাঝের ওভারে রান করা মোটেও সহজ ছিল না। পাওয়ার প্লেতে তাই ঝুঁকি নিতেই হত।'