ক্রমাগত গণ আন্দোলনের অভিঘাতের মুখে পড়ে সোমবারই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিরাপত্তার খাতিরে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতির ময়দান থেকে তাঁর মায়ের অবসর গ্রহণের কথা ছিল। সেই সঙ্গে জয় এ-ও জানালেন যে, "বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, তা নিয়ে বেশ হতাশ ছিলেন হাসিনা। তিনি আর বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান না।" জয় জানিয়েছেন যে, গত রবিবার থেকেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ভেবে রেখেছিলেন মুজিব-কন্যা হাসিনা। সোমবারেই তা ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু পথে থাকা আন্দোলনকারীদের জন্য আর সেটা করার সময় পাননি তাঁর মা। এখানেই শেষ নয়, আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার জন্য যে শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্তের পক্ষ নিয়ে জয় আরও জানান যে, "আপনারা শুধুমাত্র গতকালই ১৩ জন পুলিশকর্মীকে পিটিয়ে মেরেছেন। তাহলে আপনাদের কী মনে হয়, উন্মত্ত জনতা যখন পিটিয়ে মারছে, তখন পুলিশের কী করা উচিত?" জয় বলে চলেন, উনি (হাসিনা) তো বাংলাদেশের ভোল বদলে দিয়েছিলেন। যখন তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন তো বাংলাদেশের অবস্থা একেবারেই ভাল ছিল না। দরিদ্র দেশ ছিল। আর আজকের দিনে এশিয়ার উদীয়মান এবং প্রগতিশীল দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০২৪
সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪
বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী!
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের আর্জি, "সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করছি। বিষয়টা ভারত সরকারের অধীনে। ওরা যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা মেনে চলব।" সোশাল মিডিয়ায় পোস্টের ক্ষেত্রে বিজেপি নেতৃত্বকেও সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিলেন তিনি। উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। একদিকে ঢাকার রাস্তায় 'স্বাধীনতা'র বিজয় উল্লাস চলছে। অন্যদিকে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হচ্ছে 'বঙ্গবন্ধু' মুজিবর রহমানের মূর্তি। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে শান্ত ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "আমাদের বাংলায় কেউ যেন কোনও উত্তেজনা না করায়। উত্তেজনায় পা না দেয়। বিষয়টা ভারত সরকারের অধীনে।
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, "ভারত একটা দেশ। বাংলাদেশ একটা দেশ। পড়শি রাজ্য, দেশে যাই হোক তা পাশের রাজ্য বা দেশে পড়েই। সেক্ষেত্রে শান্ত থাকতে হবে। সব সন্তানরা ভাল থাকুন। সকলেই আমাদের ভাইবোন। বাংলাদেশের ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। দুই দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য হোক। শান্তি রক্ষা করা হোক।"
লজ্জার হারের পর মুখ খুললেন রোহিত!
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে লজ্জার হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে রোহিত বাহিনীকে। ২৪১ রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ২০৮ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। একাই ৬ উইকেট নিয়ে টিম ইন্ডিয়াক তারকা সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনকে ধরাশায়ী করে দেন শ্রীলঙ্কার স্পিনার জেফ্রে ভ্যান্ডারসে। এই হারের ফলে স্বভাবতই হতাশ অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও গোটা দল। ম্যাচে শেষে নিজের হতাশা ও যন্ত্রণার কথা জাহিরও করলেন রোহিত শর্মা।
ওবিসি সংরক্ষণ মামলা; স্থগিতাদেশ মিলল না
ওবিসি সংরক্ষণ মামলায় রাজ্য সরকারের আর্জি মেনে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সর্বোচ্চ আদালত। স্থগিতাদেশ না দিয়ে রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত।
বদলাব না; হারের পরও সাফ জানালেন রোহিত শর্মা
ভারতীয় দলের 'মিশন লঙ্কা-বধ' ওডিআই সিরিজে আর হচ্ছে না। রোহিত শর্মার ভারত দ্বিতীয় ওডিআইতে হেরে যেতেই এ আশা শেষ হয়েছে। সিরিজে পিছিয়ে পড়ার পরও ভারত অধিনায়ক পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি কিন্তু স্ট্র্যাটেজি বদলাবেন না। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৩২ রানে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচ হেরেছে ভারত।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন রোহিত শর্মা। শেষ অবধি ৪৪ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। কিন্তু তা দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ম্যাচের শেষে রোহিত বলেন, 'আমি ৬৫ রান করতে পেরেছিলাম, কারণ আমি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিং করছিলাম। মাঝে মাঝে এটা প্রয়োজন হয়। ১০০ রান করি বা ৫০ কিংবা শূন্য যখন দল না জেতে অত্যন্ত হতাশ লাগে। কিন্তু তা হলেও আমি আমার ব্যাটিংয়ে ঝুঁকি নেওয়া বদলাব না।'
ভারত অধিনায়ক রোহিত স্বীকার করে নিয়েছেন, দ্বিতীয় ওডিআইতে টিম ইন্ডিয়া ভালো খেলতে পারেনি। তাঁর কথায়, 'আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। যে কারণে আমরা হেরেছি। এই পিচে রান করাটা বেশ কঠিন। মাঝের ওভারে রান করা মোটেও সহজ ছিল না। পাওয়ার প্লেতে তাই ঝুঁকি নিতেই হত।'
হাসিনার বিছানাও দখল; ডাইনিংয়ে বসে চিবোল চিকেনের ঠ্যাং
শেখ হাসিনার বাসভবন তো বটেই তাঁর শয়নকক্ষে ঢুকে তাঁর বিছানারও দখল নিলেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে এক তরুণ আন্দোলনকারী হাসিনার বিছানায় জুতো পরে শুয়ে এক পা অন্য পায়ের উপর তুলে চিৎকার করছেন "গণভবন আমাদের দখলে"। আজ, সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঢাকার বাসভবন, গণভবন ছেড়ে 'নিরাপদ আশ্রয়ের' উদ্দেশে রওনা হন হাসিনা এবং তাঁর বোন। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গণভবনে চড়াও হন কয়েক হাজার মানুষ। চলতে থাকে যথেচ্ছ লুঠপাট।
আরও একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে গণভবনের পাকশালে রান্না করা খাবারে দেদার ভোজ সারছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। তবে সমাজ মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেকেই ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, আন্দোলনকারীরা গণভবনের রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছেন। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা নিউজ অনলাইন। সোমবার হাসিনার পদত্যাগের খবর আসে অকস্মাৎই। তাঁকে যে বাড়ি ছাড়তে হতে পারে সে খবর সম্ভবত জানা ছিল না গণভবনের রান্নাঘরের দায়িত্বে যিনি বা যাঁরা থাকেন, তাঁদেরও। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে থরে থরে ট্রে ভরে সাজানা রয়েছে ভাত, ডাল, মাংসের পাশাপাশি নানা পদ। ভিডিয়োয় দেখা যায় সেই খাবারে হামলে পড়েছেন কিছু তরুণ। তারিয়ে তারিয়ে মাংসের হাড় চিবোচ্ছেন তাঁরা।
শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
ফের গভীর নিম্নচাপ বঙ্গে; লাল সতর্কতা; প্রবল দুর্যোগের আওতায় এই ১৮ জেলা
একটানা প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা উত্তরবঙ্গে। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। পাশাপাশি জমা জলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। মূলত, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে।
আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, হলুদ সতর্কতা জারি :
কলকাতা
হাওড়া
উত্তর ২৪ পরগনা
দক্ষিণ ২৪ পরগনা
পূর্ব মেদিনীপুর
পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিম বর্ধমান
বীরভূম
মুর্শিদাবাদ
নদিয়া
আগামীকাল উত্তরবঙ্গের ৮ জেলায় হলুদ সতর্কতা :
দার্জিলিং
জলপাইগুড়ি
কালিম্পং
আলিপুরদুয়ার
কোচবিহার
উত্তর দিনাজপুর
দক্ষিণ দিনাজপুর
মালদা