প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ উপলক্ষে দিল্লি এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের সেই অনুষ্ঠান সেরে সোমবার পুরানো 'বান্ধবী' সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন শেখ হাসিনা।
সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪
নারদায় বাকি অভিযুক্তদের নিয়ে কোর্টে প্রশ্ন!
নারদ মামলায় মুকুল রায়-সহ অন্যান্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী তদন্ত হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এসএমএইচ মির্জার আইনজীবী শ্যামল ঘো। আজ, সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, নারদ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে। কিন্তু বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি তদন্ত হচ্ছে?বিচারক এদিন ইডির কাছে জানতে চায়, বাকিদের ক্ষেত্রে তদন্তের কি হাল হকিকত। মির্জার আইনজীবী বলেন, 'মুকুল রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমার মক্কেল অভিযুক্ত।
যদিও ইডির আইনজীবী বলেন, মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। নারদ মামলায় এসএমএইচ মির্জা গ্রেফতারও হন এবং প্রায় ৫৬ দিন জেলে ছিলেন। তাঁর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, ৫৬ দিন ধরে তাঁর মক্কেল জেল খাটলেন, অথচ মূল অভিযুক্ত কেন গ্রেফতার হল না? আগামী ২৮ তারিখ ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করে আদালত। এই মামলায় রাজ্যের চারজন হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। যদিও পরে তাঁরা জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু শুনানির সময় তাঁদের প্রতিবারই সশরীরে হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় আদালতের তরফে। এদিন সেইমতো মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়রা হাজির হন আদালতে।
ক্যানসারে আক্রান্ত মিঠু চক্রবর্তী;স্ত্রীর অসুস্থতায় চিন্তিত সব্যসাচী
সিনেমা থেকে সিরিয়াল, চুটিয়ে অভিনয় করছিলেন অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী। সম্প্রতি 'হরগৌরী পাইস হোটেল' ধারাবাহিকে মহেশ্বরীর চরিত্রে অভিনয় করছিলেন অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী। কিন্তু আচমকাই সেই ধারাবাহিক থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত মিঠু চক্রবর্তী। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই অস্ত্রোপচার হয়েছে মিঠুর। এরপরেই কেমো শুরু হয়েছে মার্চ থেকে। এখনও পর্যন্ত পাঁচটি কেমো থেরাপি নিয়েছেন তিনি। সোমবার ষষ্ঠ কেমো থেরাপির সেশন রয়েছে তাঁর। এতগুলো কেমো নিয়ে অস্বস্তি অনুভব করছেন অভিনেত্রী। তিনি আরও জানান, কেমো থেরাপি শেষ হয়ে গেলে শুরু হবে রেডিও থেরাপি। এই কঠিন সময়ে স্ত্রীর পাশে রয়েছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী।
হিরণের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে পুলিশ!
ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে তদন্ত চালাতে পারবে রাজ্য পুলিশ। তবে এখনই হিরণকে গ্রেফতার করা যাবে না। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনটাই জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। এর আগে এই মামলায় তিনিই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। ভোট মিটে যাওয়ার পর আবার তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পুলিশকে দিলেন বিচারপতি।
গত ১৮ মে ঘাটাল তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট দিলীপ মাজির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘাটাল থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে হিরণ-সহ তিন জনের নাম ছিল। অভিযোগ, ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেতা দেবের একটি ভুয়ো অডিয়ো তৈরি করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে ভোটের আগে দেবের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই অডিয়োয় স্পর্শকাতর বিষয় ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন অভিযোগকারী। অডিয়োয় দেবের কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, দেবের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদী’, 'খুনি', 'রক্তমাখা হাত', 'আতঙ্কবাদী' ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
এই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে হিরণ আদালতে যান। এফআইআরে নাম থাকা ঘাটালের স্থানীয় বিজেপি নেতা তমোঘ্ন দে-ও মামলা করেন ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে। বিচারপতি সিংহ ঘাটালে ভোটের আগে ওই তদন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুলিশ এই এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত করতে পারবে না। সোমবার স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হল।
রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪
এবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ?
২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে বাংলার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ২০২৪ লোকসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফল না মেলায় এবার রাজ্য সভাপতি বদলের পথেই কি হাঁটতে চলেছে বিজেপি? ইঙ্গিত উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রবিবারই সুকান্ত মজুমদার জানান, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। যার ফলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে রদবদল কি কার্যত অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে ? কী বলছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, অনেক নাম নিয়ে চর্চা চলছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি রাজ্য সভাপতি বদল হবে?
শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪
'সরকার গঠনের দাবি জানাবে ইন্ডিয়া, পরিস্থিতির উপর নজর',মমতার দাবিতে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে
ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠনের দাবি জানায়নি, তবে ভবিষ্যতে জানাতে পারে। মোদি সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী বলে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলনেত্রীর কথায়, আমরা অপেক্ষা করছি আর পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি।
আমার হারের জন্য দলের একাংশ দায়ী; ভোটে হার নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা
লোকসভা ভোটে রাজ্যের মধ্যে অন্যতম কেন্দ্র ছিল বিষ্ণুপুর। সবার নজর ছিল এই কেন্দ্রের দিকে। তাঁর অন্যতম কারণ বিজেপি ও তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন। এই কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ।
সুজাতা বলেন,'আমার হারের পিছনে একাধিক বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী স্বীকার করেছেন, তাঁর সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের যোগাযোগ ছিল। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি জন্য আমাকে হারানো হয়েছে। মমতা-অভিষেক সব জানেন', দাবি সুজাতার।