'গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন' (জিটিএ)-সহ ২২টি জেলাকে ১০০ দিনের কাজের টাকা মেটাল রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি জিটিএয়ের ১০০ দিনের কাজের টাকাও বকেয়া ছিল। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র না দেওয়ায়, সেই টাকা রাজ্যই মিটিয়ে দেবে। কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে আর বসে থাকা হবে না।
রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
১০ মার্চ ব্রিগেডে ফের সভা করছে তৃণমূল!
আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে ফের সভা করছে তৃণমূল। ওই সভার নাম দেওয়া হয়েছে 'জনগর্জন'। রবিবারই ঘোষণা করা হয়েছে দলের তরফে। আর এদিনই ডায়মন্ড হারবার থেকে বিরোধীদের কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ১০ তারিখ যা দেখানো হবে, সেটা ট্রেলার। মানুষ ছবিটা দেখাবেন নির্বাচনে।
লাগাতার হিংসায় উত্তপ্ত সন্দেশখালি, কী বলছেন তারকা সাংসদ নুসরত?
জমি, ভেড়ি দখল। নারী নির্যাতন। একের পর এক অভিযোগের পাহাড়। গত ৫২ দিন ধরে গোটা রাজ্যে চর্চার বিষয় সন্দেশখালি। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গ্রামের পর গ্রাম। অশান্তি নিয়ে ফের মুখ খুললেন তারকা সাংসদ নুসরত জাহান। "রাজনীতি বন্ধ করুন", X হ্যান্ডলে এভাবেই নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
X হ্যান্ডলে নুসরত লেখেন, "একজন মহিলা এবং জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি সবসময় আমার দলের নির্দেশিকা মেনেই চলি। এবং জনসেবা করারই চেষ্টা করি। সন্দেশখালিতে ইতিমধ্যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সাহায্যের হাত বাড়ি দিয়েছেন।
মারের ভয়ে সাড়ে ৪ ঘণ্টা অন্যের ঘরে ঢুকে ছিলেন এই তৃণমূল নেতা!
প্রায় ঘন্টা চারেক ধরে অন্যের বাড়িতে বন্দি থাকার পর অবশেষে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অন্ধকারে ঘুপচি গলি দিয়ে অজিতকে বার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে এলাকা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।
রবিবার সকালে বেড়মজুরে একটি হরিনাম সংকীর্তনের আসরে গিয়েছিলেন পার্থ এবং রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সুজিত বসু। বেলা গড়াতে সেই এলাকাতেই গ্রামবাসীদের তাড়া খান অজিত। প্রাণ বাঁচাতে তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে পড়েন। ঢুকেই দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। এ দিকে ওই বাড়ির লোক তখন বাইরে স্নান করছিলেন।
বাইরে তখন মারমুখী জনতার ভিড়। প্রবল চিৎকার-চেঁচামেচি। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকেরাও। এই পরিস্থিতিতে গণপিটুনির ভয়ে কেঁদেই ফেললেন সন্দেশখালির বেড়মজুরের তৃণমূলের দাপুটে নেতা অজিত মাইতি। ভিতর থেকে তাঁর আর্তি, "দাদা, দরজা খুলবেন না! ওরা আমাকে মেরে ফেলবে!"
অন্যের বাড়িতে চার ঘণ্টা ধরে নিজেকে বন্দি রেখেছিলেন অজিত। পুলিশ আধিকারিকেরা বারবার আশ্বাস দিলেও তিনি বাইরে বেরোতে রাজি ছিলেন না। যদিও মুখে বারবার বলছিলেন যে, পুলিশের প্রশাসনের উপর তাঁর ভরসা রয়েছে। তা সত্ত্বেও বেরোনোর সাহস পাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা।
কোলাপসিবল গেটের ফাঁক দিয়ে দেখা গিয়েছিল, ঘরে বসে রীতিমতো কাঁপছেন তৃণমূল নেতা অজিত। বারবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন কাউকে ফোন করার। কিন্তু কোনও কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। অজিতের বিরুদ্ধে যখন ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে বেড়মজুর, তখন সন্দেশখালির অন্য একটি জায়গা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানিয়ে দেন, দল তাঁর পাশে নেই। তাঁর পদও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, "অন্যায় করলে তো রাগের বহিঃপ্রকাশ হবেই।"
স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যার পরে বিক্ষোভের আঁচ একটু কমে। বিক্ষোভকারীরা একটু একটু করে সরতেই শুরু হয় পুলিশি তৎপরতা। এর পরেই পরিস্থিতি বুঝে অজিতকে বুঝিয়ে বার করেন পুলিশ আধিকারিকেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অজিতকে আপাতত আটক করা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মিনাখাঁ থানায়। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ রয়েছে, যা তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখে গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁকে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, গ্রামের অনেকের জমি দখল করেছেন অজিত। শাহজাহান শেখের এই অনুগামী এক সময়ে বিভিন্ন লোককে চমকে-ধমকে বেড়িয়েছেন। তাঁদের উপর অত্যাচার করেছেন। তাই এই বিক্ষোভ।
'পার্থ-জ্যোতিপ্রিয়কে রেয়াত করেনি দল, শাহজাহান কে': অভিষেক
লোকসভা ভোটের আগে রবিবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের মহেশতলায় সভা করেন তৃণমূলের হেভি-ওয়েট নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ফের একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগের পাশাপাশি অভিষেক আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁর সরাসরি অভিযোগ আগামী ৮ মার্চ বাংলায় মোদির সভার আগে সন্দেশখালির অশান্তিতে জিইয়ে রাখার নির্দেশ রয়েছে।
এদিন সন্দেশখালির একাধিক ইস্যুতে অভিষেক বলেন, 'ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা এবং তারাই এফআইআর করে। আদালত এসআইটির কথা বলেন। ইডি অ্যাপিল করে স্টে চায় স্টে মঞ্জুর করে। ৬ মার্চ শুনানি রয়েছে। পুলিশ কীভাবে গ্রেফতার করবে? সারদার মামলা ২০১৪ এখনও ট্রায়াল শুরু হয়নি। বৈষম্য কেন? যারা বলছেন শাহজাহানের গ্রেফতার চাই।
অভিষেকের অভিযোগ, 'যত বড় নেতা হোক জনগণের সঙ্গে কিছু করলে রেয়াত করা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিপিএম বিজেপির নেতারা আগে বলেননি কেন? শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শাহজাহানের ছবি পাবেন। বিজেপিতে যাওয়ার পর কেনও বলেননি?'
শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
প্যানেলে নাম নেই; বেরিয়ে গেল নিয়োগপত্র
নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। প্রাথমিক নিয়োগের পাশ করা প্রার্থীদের মধ্যে নাম ছিল না। অথচ তাঁদের নামেই ইস্যু হয়ে গিয়েছে নিয়োগ পত্র। হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি দেখেই চোখ কপালে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকদের। অবিকল নকল করা হয়েছে সই। খতিয়ে দেখেই কর্তারা বুঝতে পেরেছেন ওই নিয়োগ পত্র আসলে ভুয়ো।
গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেখা গিয়েছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, সোনারপুর ও পাথরপ্রতিমা এলাকায় মোট চারজন চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময়ই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। এরপরই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে তদন্তের আবেদন জানানো হয়। এবার ফের ভুয়ো নিয়োগপত্রের ছবি দেখে উদ্বিগ্ন খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্মকর্তারা।
২০০৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৮৩৪ জন। তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৫০৬ জনের তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। বাকি তালিকা নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন চলে। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৪ জনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তার মধ্যেই ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।
বিজেপিকে ভোট না দিলে বাতিল আধার; বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক
বিজেপিকে ভোট না দিলে নাকি বাতিল হবে আধার কার্ড! এমনই দাবি বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের। তাঁর একটি ভিডিও পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলের দাবি, এবার বোঝা যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন একসঙ্গে এতোগুলি আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়েছিল।
তৃণমূলের পোস্ট করা ভিডিওতে হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারকে বলতে শোনা গিয়েছে, "বিজেপি ছাড়া ভুলেও অন্য কাউকে দেবেন না। দয়া পরবশত আপনাদের আধার কার্ড ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব, মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দিল্লিতে অনেক অনুরোধ করেছে, তার পর আধার কার্ড ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনারা প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।" একইসঙ্গে ভয় দেখিয়ে বিধায়কের দাবি, আধার না ফিরে না পেলে কী করতেন? আন্দোলন করতেন? সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি বলে গ্রেপ্তার হতেন তো!"
অসীম সরকারের ভিডিও পোস্ট করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, "হরিণঘাটার বিধায়ক হুমকি দিচ্ছেন। বিজেপিরকে ভোট না দিলে আধার বাতিল হবে। এবার আমরা বুঝলাম. নদিয়াতে কেন এতো সংখ্যক আধার কার্ড বাতিল হয়েছিল।"