কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ বার বার সামনে এনেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের পাশাপাশি দিল্লিতেও এই বিষয়ে তারা আন্দোলন করেছে। এ বার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
বড় বিপদে তৃণমূল বিধায়ক; আয়কর নজরে বায়রন
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার ঠিক আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হানা আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে। সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বাড়িতে বুধবার সকালে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। উল্লেখ্য, এই বায়রন বিশ্বাস প্রাথমিক ভাবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট প্রার্থী বায়রন।
মুর্শিদাবাদ জুড়ে একাধিক সম্পত্তি ও বাড়িতে হানা দিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা রয়েছেন ধুলিয়ানে বায়রন বিশ্বাসের নিজের বাড়িতে। এ ছাড়া, বায়রনের নিজস্ব বেসরকারি নার্সিংহোমের ব্যবসা রয়েছে, সেখানেও হানা দিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এ ছাড়া রয়েছে বেসরকারি স্কুল, রঘুনাথগঞ্জের সেই স্কুলেও হানা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একটি বিড়ির কারখানাতে হানা দিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
আসন সমঝোতার রফাসূত্র বের করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে; ডেডলাইন বেঁধে দিল মমতা
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গেকে সামনে লোকসভা নির্বাচনে লড়ার প্রস্তাব উঠল আজকের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে। মোদীর বিরুদ্ধে খার্গে! সূত্রের খবর খার্গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব করেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খার্গে দলিত সম্প্রদায়ভূক্ত হওয়ায় ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন কংগ্রেসের ঘোর বিরোধী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে খোদ খার্গে ওই প্রস্তাবকে খুব একটা আমল দিতে রাজি নন। লোকসভা নির্বাচনের পরে এনিয়ে ভাবা যাবে বলে জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খার্গে। তবে এই বৈঠক ঘিরে লাখ টাকার প্রশ্ন ছিল রাজ্যে রাজ্যে বিরোধীদের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টির কী হবে?
আসন সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে জোটকে বার্তা দিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, আসন সমঝোতার বিষয়টি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্য়ে শেষ করে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে সিট শেয়ারের ব্যাপারে অনেকক্ষণ ধরেই আলোচনা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে হবে।
আসম সমঝোতা নিয়ে মল্লিকার্জুন খার্গে বলেন, আসন সমঝোতার বিষয়টি সব দল মিলে কাজ করবে। যেসব রাজ্যে বিরোধীরা শক্তিশালী সেখানে প্রথম তারা নিজেদের মধ্যে বসে আসন সমঝোতা করবে। এতে যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে তা নিয়ে জোটের বৈঠকে আলোচনা হবে।
সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
অধীর-সহ ৩৩ সাংসদ সাসপেন্ড!
সোমবার শীতকালীন অধিবেশনেও সাসপেন্ড করা হল অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। সঙ্গে ৩০ জনের বেশি বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তৃতার মাঝেই নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। প্রথমে দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট, পরে তিনটে পর্যন্ত সভার কাজ মুলতুবি করে দেন স্পিকার। তার পরেও পরিস্থিতি তপ্ত হওয়ায় অধীর-সহ ৩০ জনের বেশি সাংসদকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। সাম্প্রতিক সময়ে একসঙ্গে এত জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন।
সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার অনেক তৃণমূল সাংসদও। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল, শতাব্দী রায়কে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। এ ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন ডিএমকের তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান। এই অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল।
চিরঞ্জিতের নিশানায় দলের বিধায়ক?
দলের বিধায়কককেই তীব্র কটাক্ষ করলেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। এবার তৃণমূলের তারকা বিধায়কের নিশানায় উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলারই অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এই ঘটনায় সামনেই চলে এসেছে উত্তর চব্বিশ পরগণার শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলচ। যদিও চিরঞ্জিতের কটাক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অশোকনগররে বিধায়ক এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী৷ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার নতুন কোর কমিটির বৈঠকে।
চাপে বিচারপতি অমৃতা সিনহা; স্বামীকে তলব CID-র
ফের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে-কে তলব করল সিআইডি। চলতি মাসের ২২ তারিখ তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আগামী সোমবার তাঁকে ফোন জমা দিতেও বলা হয়েছে বলে খবর।
সম্প্রতি ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা এবং তাঁর মেয়ে অভিযোগ করেন, আইনত পৈতৃক সম্পত্তি পেলেও তাঁর দাদার পরিবার তা থেকে তাঁকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। তাঁর আরও অভিযোগ, মারধরও করা হয় তাঁকে। যার প্রমাণ রয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। তিনি আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। তাঁর আত্মীয়দের হয়ে মামলা লড়ছিলেন বিচারপতির স্বামী।
অভিযোগকারিণী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হন। সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে অবশ্য এই মামলায় বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলেই জানায় সুপ্রিম কোর্ট। ডিসেম্বরের শুরুতে আদালত জানিয়ে দেয়, অভিযোগের নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যাবে। এর পরই পদক্ষেপ নেয় সিআইডি। ভবানীভবনে বিচারপতির স্বামীকে তলব করা হয়। শনিবার বেলা ১১টায় ভবানীভবনে হাজিরা দেন তিনি। ঘণ্টাদুয়েক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় তাঁকে। এবার ফের তলব করা হল তাঁকে।
তথ্য লুকোনোর চেষ্টা;চাকরি বাতিল নিয়ে নয়া মোড়
নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র তৃতীয় রিপোর্টেও সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ এখনও পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন। ফের অবস্থান স্পষ্ট করার সুযোগ দিল হাই কোর্ট। এদিন, সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী দু-দিনের মধ্যে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে চতুর্থ রিপোর্ট জমা দিতে হবে এসএসসি-কে।
এর আগে গত বুধবার হাই কোর্ট এসএসসি-র উদ্দেশে বলেছিল, চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল নিয়ে দু-টি অবস্থান নয়। এসএসসি-র কাছ থেকে এক এবং একটি নির্দিষ্ট অবস্থান জানতে চায় তারা।