বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান হিন্দু নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার হুগলিতে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গিয়ে বাংলাদেশ ইস্যুতে নরমে-গরমে নিজের বক্তব্য রাখলেন তিনি। রীতিমতো 'জাত গোখরো'র কায়দায় তাঁর হুঁশিয়ারি, 'ডোন্ট আন্ডার এস্টিমেট ইন্ডিয়া'। তবে দুদেশের মধ্যে সম্প্রীতির আবহে খানিকটা ভাটা পড়ায় মনখারাপের কথাও বলতে ভুললেন না মিঠুন।
রাজ্যজুড়ে চলছে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান। হুগলি সাংগঠনিক জেলার এই কর্মসূচিতে শনিবার গিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশে ঘটে চলা ধারাবাহিক সাম্প্রদায়িক অশান্তি, সংখ্যালঘু নির্যাতন। এসব নিয়ে মিঠুনের বক্তব্য, "বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের একটা আবেগ, অনুভূতি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অনেকেরই মনে হয় সেটা আছে। কিন্তু বাংলাদেশ এরকম হয়ে যাবে, আমরা কোনওদিন ভাবিনি। আবেগের জায়গা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছি। তারপর যা সব কথাবার্তা শুনছি, টিভিতে দেখছি, ওদের নেতারা যে যা পারছে কথাবার্তা বলছে। আমি একটা কথাই বলব – ভারতকে খাটো করে দেখবেন না। ডোন্ট আন্ডার এস্টিমেট ইন্ডিয়া।" তাঁর আরও বক্তব্য, বাংলাদেশকে দেখে আমাদের শিখতে হবে। বিশেষ করে বাংলাকে শিখতে হবে। যদি আমরা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে না লড়ি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, নিশ্চিত।"
বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির মাঝেই রাজ্যে জঙ্গি-যোগে একাধিক যুবকের গ্রেপ্তারি যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন মিঠুন। তাদের প্রেক্ষাপট থেকে একটা বিষয় প্রায় স্পষ্ট, হাসিনাহীন বাংলাদেশে ভারত বিরোধী শক্তিগুলি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যার প্রভাবে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিও সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে ধীরে ধীরে। সীমান্তের এপারে অপারেশনের ষড়যন্ত্র হিসেবে বাংলার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে আড়ালে-আবডালে যুবকদের কাজকর্ম সন্দেহজনক। তা নিয়ে মিঠুনের প্রতিক্রিয়া, "এগুলো অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। শুধু আমাদের খারাপ লাগে, আমাদের পশ্চিমবঙ্গ ইতিমধ্যেই নিচের দিকে নামছে। এগুলোর জন্য প্রশাসন দায়ী। তবে ভালো খবর এটাই যে জঙ্গিরা ধরা পড়েছে।"