যেতে পারি, কিন্তু কেন যাব! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে স্কুলে গেলে পুলিশ যদি গ্রেফতার করে, তাহলে তার দায় কে নেবেন? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিহারাদের অনেকেই। এদিনই এই প্রশ্ন তুলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন চাকরিহারারা। একদিন আগেই নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের বড় অংশের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে থাকার বার্তাও দেন। কুণালের দাবি, তাতে কিছুটা চিঁড়ে ভিজেছে। কুণাল বলছেন, "'মুখ্যমন্ত্রী নিজে সবিস্তার ব্যখ্যা দিয়েছেন। তাতে আশ্বাস্ত হয়ে বহু শিক্ষক শিক্ষিকা আজ স্কুলে গিয়েছেন। কাজ করেছেন। যদি কারও কোনও দ্বিধা থাকে আমার ধারণা সেগুলি কেটে যাবে।" তবে কুণালের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বলা 'ভলান্টিয়ারি সার্ভিসের' ভুল ব্যখ্যা করা হচ্ছে। তুলোধনা করেন বিরোধীদের। মনে করার করোনাকালের কথা। এরপরই করোনাকালের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, "আমি বাম-রাম শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করছি যখন করোনার সময় দিনের পর দিন স্কুল, বন্ধ ছিল, ক্লাস নিতে হয়নি, অনেক রাজ্যে বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নির্দিষ্ট তারিখে পুরো বেতন দিয়েছে। তখন স্কুল যেতে হয়নি, ক্লাস নিতে হয়নি!" কুণালের প্রশ্ন, "তখন মনে হয়নি স্কুল যাচ্ছি না বেতন নেব কেন? তখন বেতন নিলেন কেন, ফেরত দিলেন না কেন?"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন