সিবিআইয়ের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি খন্না জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) না কি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে? অনেক সন্দেহ রয়েছে! পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?" চারটি বিভাগে কত নিয়োগ হয়েছিল, সে বিষয়েও সিবিআই এবং এসএসসির কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
কত জন যোগ্য এবং অযোগ্যকে বাছাই করা হয়েছে, তা নিয়েও এসএসসিকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তাতে কমিশনের আইনজীবী জানান, 'র্যাঙ্ক জাম্প' এবং প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে। কিন্তু ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য কমিশনের কাছে নেই। সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, "সমস্যা তো এখানেই। বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে আপনাদের তথ্য মিলিয়ে দেখেননি। আপনারা বলতে পারছেন না কোনটি আসল তথ্য। কিন্তু সিবিআইয়ের তথ্য গ্রহণ করলে বলতে হবে বনসলের তথ্য আসল। উল্টো দিকে অন্য পক্ষ বলছেন, তাঁদের নম্বর আসল। বনসলের তথ্য সঠিক নয়।"
এই মামলায় অন্যতম সমস্যা হল যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করার ক্ষেত্রে সমস্যা। তবে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সোমবার শীর্ষ আদালতে জানান, যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব। যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব নয় বলে যে যুক্তি উঠে এসেছে, তার বিরোধিতা করেন সিঙ্ঘভি।
মামলার একটি পর্যায়ে এক আইনজীবী কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য, সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কোনও ভিত্তি নেই। মামলা চলাকালীন তাঁর সাক্ষাৎকার এবং অবসরের পর রাজনীতিতে যোগদানের প্রসঙ্গও তোলেন ওই আইনজীবী। তবে আইনজীবীকে ওই সময়ে বিরত করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, "আমি দুঃখিত। এই বক্তব্য গ্রহণ করতে পারব না। তথ্যের উপর ভিত্তি করে সওয়াল করুন।" ওই আইনজীবীকে কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য না-করার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। আদালত যে তথ্য এবং প্রমাণের ভিত্তিতে চলে, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন