মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে উঠে এসেছিল স্যালাইন বিভ্রাটের অভিযোগ। এবার সেই স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে সরাসরি ক্লিনচিট দিল রাজ্য সরকার। লিঙ্গার ল্যাকটেটের স্যালাইনে খারাপ ছিল না। ল্যাব রিপোর্ট দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে জানাল রাজ্য।
৮ জানুয়ারিতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। এর পর থেকে উত্তপ্ত হয় রাজ্য। অভিযোগ ওঠে, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। ততক্ষণে অবশ্য ওই মেডিক্যাল কলেজে সিজার হওয়া আরও তিন প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়ে। তিন প্রসূতিকে গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তাঁদের সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিতর্কের অবসান হয়নি। রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই স্যালাইন বিভ্রাটের তত্ত্ব খারিজ করে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগকেই খাড়া করেছিল। ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ডও করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জল গড়ায় আদালতে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে আদালত। বৃহস্পতিবারই সেই রিপোর্ট জমা করে রাজ্য। রাজ্যের তরফে স্পষ্ট বক্তব্য, যে স্যালাইন নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল, সেই লিঙ্গার ল্যাকটেটের স্যালাইনে কোনও সমস্যা ছিল না। সেই স্যালাইনের নমুনা পরীক্ষার রাজ্যের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ক্লিনচিট পেয়েছে এই সংস্থা। একই সঙ্গে সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে আরও লেখা রয়েছে, ৮ জানুয়ারি পাঁচ প্রসূতির একই সঙ্গে চিকিৎসা চলছিল, পাঁচ জনের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সিআইডি তদন্ত করছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন