অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে আটক হয়েছেন তিন জন। সইফের বাড়িতে হামলার নেপথ্যে কারা? সন্ধান করতে বুধবার মধ্যরাত থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে মুম্বই পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে সংগ্রহ করা হয় অভিনেতার বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এবং পরিচারকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই ৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।
রাতে অভিনেতার বাড়িতে ৭ জন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তারপরও কীভাবে ওই দুষ্কৃতী প্রবেশ করল, প্রশ্ন উঠছে। আদৌ বাইরে থেকে কোনও দুষ্কৃতী প্রবেশ করেছে, নাকি সইফের ভিতরের কেউ কাণ্ড ঘটিয়েছে সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। শোনা যাচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজে কাউকে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ডাকাতির উদ্দেশে বলিউডের ‘নবাবে’র বান্দ্রার বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতী। বাড়িতে ঢুকে পড়ার পর পরিচারক তাকে দেখে ফেলেন। পরিচারকের সঙ্গে বচসা চলাকালীন সইফ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। অভিনেতা ওই দুষ্কৃতীতে বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। দুষ্কৃতীর কাছে ধারালো ছুরি ছিল। পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে সইফ নিরস্ত্র অবস্থায় দুষ্কৃতীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির মধ্যে সইফকে একাধিকবার ছুরির আঘাত করে সে।
দ্রুত অভিনেতাকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দ্রুত ৩ সদস্যের এক চিকিৎসক দল গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিকিৎসকরাই জানিয়েছেন, সইফের শরীরে ছ’বার ছুরির আঘাত করা হয়েছে। এর মধ্যে দু জায়গার চোট গুরুতর। এদিকে সইফের টিম এবং করিনার টিমের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সইফ ছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যরা পুরোপুরি নিরাপদ এবং সুস্থ। সইফের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে কোনওরকম গুজব না ছড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে নবাব পরিবার থেকে।
সূত্রের খবর, ছুরি দিয়ে ৬ বার আঘাত করা হয় অভিনেতাকে। তাঁর হাত ও পিঠের চোট গুরুতর। এই মুহূর্তে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সইফের চিকিৎসায় ৩ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁর পিঠে অস্ত্রোপচারও করা হচ্ছে। হাসপাতালে রয়েছেন করিনা কাপুর খান-সহ সইফের গোটা পরিবার।
এদিকে ওই হামলার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শিব সেনার উদ্ধব শিবির থেকে শুরু করে কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলি মুম্বইয়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাঁদের প্রশ্ন, এটা গোটা বলিউডকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা। সইফের মতো সেলিব্রিটিরাই যদি নিরাপদ না হন, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন