দলের নিচুতলার সংগঠনের হাল বেশ খারাপ। যার প্রভাব পড়ছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে। এর পাশাপাশি একের পর এক নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। ছাব্বিশের আগে চিন্তায় রেখেছে বঙ্গ বিজেপিকে। এর মধ্যেই দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের বড় অংশ এখনও নিষ্ক্রিয়। আদি-নব্য দ্বন্দ্বে পুরনোরা ব্রাত্য বঙ্গ বিজেপিতে। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের আদি শিবিরকে ফের মাঠে নামাতে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপরই ভরসা করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ, উনিশের লোকসভা ভোটে দিলীপের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি সংগঠিতভাবে লড়ে সর্বাধিক আঠারোটি আসন পেয়েছিল। তারপর দিলীপকে কার্যত কোণঠাসা করা হয় বঙ্গ বিজেপিতে। দলের পুরনোদের সক্রিয় করে তুলতে ফের দিলীপ ঘোষকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে বলে খবর। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির দুই পুরনো মুখ সায়ন্তন বসু ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সুকান্ত মজুমদারের আমলের আগে দিলীপের টিমের দুই প্রধান সেনাপতি ছিলেন এই সায়ন্তন-রাজু। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের একাংশ সায়ন্তনকে দলের পিছনের সারিতে বসিয়ে রেখে ছিল। আর রাজুকে তো দলীয় বৈঠকে বা কর্মসূচিতে ডাকাই হয় না বলে খবর। তবে শুধু সুকান্ত- রাজুরাই নয়, উনিশের লোকসভা ভোটের সময় বিজেপির সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাক্তন রাজ্য সহসভাপতি রাজকমল পাঠক-সহ একাধিক প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে আবার সক্রিয় করে তুলতে চাইছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। সদস্য সংগ্রহ অভিযানেও দিলীপ ঘোষকে নিয়মিত নামতে বলা হয়েছে। আর দিলীপও তাঁর সেই পুরনো স্টাইল চায়ে পে চর্চার পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন