রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। চিন্ময় দাসকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম। এদিন চিন্ময় দাসের আদালতে পেশের আগে আদালত চত্বরে জড়ো হন শয়ে শয়ে মানুষ। উঠল জয় শ্রীরাম স্লোগানও। রায় শোনার পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আদালত চত্বর। পুলিসের প্রিজন ভ্যান প্রায় তিন ঘণ্টা আটেক রাখে বিক্ষোভকাররীরা।
আদালত চত্বর থেকে চিন্ময়কে নিয়ে বের হতে গেল শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। পুলিস টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তখনই বিক্ষুব্ধ জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে জড়ো হয়। এর পরই ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে জনতা। তাড়া করে যায় পুলিস। পাল্টা তাড়া করে জনতাও। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের।
এছাড়া লালদিঘীতে সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল ছাড়াও আহত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। তবে এই ১৯ জনের সকলেই আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মন্নান।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন