আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বামফ্রন্ট। এবার রাজ্যের ছ’টি আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করল বঙ্গ কংগ্রেস। আর জি কর আবহে ভোটের ময়দানে দুই দলই এককভাবে শক্তিপরীক্ষায় নামছে। ফলে বাম-কংগ্রেস জোটের সলতে পেকেও পাকল না। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, সিপিএম বরাবরই জোটের পক্ষে। তবে প্রবল আপত্তি তোলে ফরওয়ার্ড ব্লক। মূলত, বাম শরিকদের আপত্তিতেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাস্তবায়িত হল না।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। তারই মাঝে আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেগুলি হচ্ছে–সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, তালড্যাংরা, হাড়োয়া ও মেদিনীপুর। মনে করা হচ্ছিল, ‘হাত-হাতুড়ি’ নতুন উদ্যোমে হারানো জমি উদ্ধারে নেমে পড়বে। যৌথভাবে শাসক তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ে নামবে তারা। কিন্তু বাস্তব চিত্র একেবারেই উলটো। গতকাল. সোমবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বামেরা। আইএসএফকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাড়োয়া আসনটি। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, সিপিএম বরাবরই জোটের পক্ষেই ছিল। প্রবল আপত্তি তোলে ফরওয়ার্ড ব্লক। মূলত, বাম শরিকদের আপত্তিতেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট আটকে গেল।
তারপরই আজ তালিকা প্রকাশ করে হাত শিবির। জানা যাচ্ছে, সিতাই থেকে লড়বেন হরিহর রায়সিংহ, বিজেপির গড় মাদারিহাটের টিকিট পেয়েছেন বিকাশ চাম্প্রমারি, নৈহাটিতে পরেশনাথ সরকার, তালড্যাংরা থেকে ময়দানে তুষারকান্তি সন্নিগ্রাহী, হাড়োয়ায় হাবিব রেজা চৌধুরী ও মেদিনীপুরে লড়ছেন শ্যামল কুমার ঘোষ। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, আর জি কর আবহে শক্তি যাচাই করতে চাইছে বামেরা। ‘দ্রোহ’ ভোটের মরা গাঙে জোয়ার আনে কি না, ২০২৬-এর আগে সেটাই দেখতে চাইছে বাম নেতৃত্ব।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন