এদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে আজ বেলা দেড়টা নাগাদ সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবনের কাছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনস্থলে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ডিজি রাজীবকুমার।
সেখানে পৌঁছে মমতা গভীর আবেগের সঙ্গে বললেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আসিনি, আমি দিদি হিসেবে এসেছি। আমি যখন এসেছি কাজ করবই। এই আন্দোলনে রোদে-বৃষ্টিতে আপনাদের খুব কষ্ট হয়েছে। আমিও আপনাদের জন্য কষ্ট পেয়েছি। আপনাদের দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে ভাবব। আমাকে একটু সময় দিন। যারা দোষ করেছে তারা শাস্তি পাবে। আপনারা কাজে যোগদান করুন। সিবিআইকে বলব দ্রুত তদন্ত শেষ করব। কোনও ডাক্তারেরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়। আমি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলব। আমার এটা শেষ চেষ্টা।'
পাশাপাশি একেবারে যেন দিদির মতো ঘরোয়া সুরে তিনি জুনিয়রর ডাক্তারদের অনুরোধ করেন, এখানে যে যা খাবার দিচ্ছে সেটা খাবেন না।'
তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সম্ভবত রাজ্যের সমস্ত রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। আরজি কর প্রসঙ্গে মমতা ঘোষণা করেন, 'আরজি কর রোগী কল্যাণ সমিতি' ভেঙে দিলাম। আর তখনই তিনি রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে বলেন, এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতিতে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার ও নার্সও থাকবেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন