প্রমাণের অভাব, সওয়াল যুক্তির মারপ্যাঁচও নয়৷ অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে ভাষা সমস্যা! শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত গরু পাচার মামলায় জামিন দিয়েছিল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে৷ আজ আদালতের লিখিত নির্দেশ অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীদের হাতে ইতিমধ্যে এসেগিয়েছে। সেই নির্দেশিকাতেই ভাষা সমস্যার কথা স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন বিচারক। আর এখানেই ইডি-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে প্রথম গ্রেফতার করে সিবিআই। এর পর তৃণমূল নেতাকে একই মামলায় হেফাজতে নিয়েছিল ইডি।
কিন্তু কোন ভিত্তিতে জামিন পেলেন অনুব্রত? আদালতের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, গরু পাচার মামলার সাক্ষীরা ইডি-র কাছে বাংলায় বয়ান দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন সময় পেয়েও ইডি নাকি সাক্ষীদের সেই বয়ান বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারেনি। ইংরেজিতে নথি না থাকায় বিচারও শুরু করা যায়নি। এমন কি, এই অনুবাদ করার জন্য আদালতের থেকে সময় চেয়েছিলেন ইডি-র হয়ে সওয়াল করা বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি। তার পরেও সাক্ষীদের বয়ানের ইংরেজি তর্জমা করে উঠতে পারেনি ইডি। ইডি মামলায় এক বছর আগেও জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু ২০২৩ সালের মে মাসের সেই জামিনের আবেদন খারিজ হয়। তার পরে গত এক বছরেও ইডি-র মামলায় বিচার শুরু হয়নি। বিচার শুরু হলেও তাতে লাগবে অনেক সময়। আর সেই কারণেই কার্যত জামিন মঞ্জুর হল অনুব্রত মণ্ডলের। আর এখানেই ইডি-র ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। অনুব্রতকে জামিনের নির্দেশ দিতে গিয়ে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণেরও উল্লেখ করেছেন বিচারক।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন