বিশ্বকাপ জয়ের পর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও। এবার নতুনদের পালা ভারতের জয়রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। জিম্বাবোয়ে সফরকে তারই প্রস্তুতিপর্ব বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। একঝাঁক নতুন মুখে সমৃদ্ধ দল নিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিম্বাবোয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩ রানে হারতে হল শুভমানদের।
এদিন হারারের মাঠে টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক শুভমান গিল। যুক্তি ছিল, রান তাড়া করতেই অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন তাঁরা। এদিন ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ঘটে রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল ও অভিষেক শর্মার। দাপটের সঙ্গেই শুরু করেছিলেন মুকেশ কুমাররা। দ্বিতীয় ওভারেই জিম্বাবোয়ের ব্যাটার ইনোসেন্ট কাইয়াকে বোল্ড করে দেন তিনি। তার পরই শুরু হয় রবি বিষ্ণোইয়ের ম্যাজিক। আইপিএলেও ভালো ফর্মে ছিলেন।
জয়ের জন্য ১১৬ রান তাড়া করতে নেমেও ব্যাটিং বিপর্যয় ভারতের। এক সপ্তাহ আগে ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সাপ্লাই লাইনের দুর্দশা প্রকট করে দিল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা জ়িম্বাবোয়ে। ব্যাট হাতে হতাশ করলেন দুই অভিষেককারী অভিষেক শর্মা (শূন্য) এবং রিয়ান পরাগ (২)। অসমের প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসাবে ভারতীয় দলের হয়ে এ দিন খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিয়ান। শুধু অসমই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসাবে জাতীয় দলে খেললেন। ব্যর্থ হলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৭) এবং রিঙ্কু সিংহও (শূন্য)। টেন্ডাই চাতারা, বেনেটদের বোলিংয়ের সামনে হারারের ২২ গজে বেশ অসহায় দেখাল ভারতের উপরের দিকের ব্যাটারদের। পরে ব্যাট করলেও পিচের বাউন্স বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। ভারতীয়দের দেখে মনে হল একটু বেশিই সহজ ভাবে নিয়ে ফেলেছিলেন প্রতিপক্ষকে। তারই ফল ভুগতে হল।
২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দলের ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন শুভমন এবং ধ্রুব জুরেল। পরিস্থিতির চাপে উইকেট বাঁচিয়ে খেলার দিকে নজর দেন তাঁরা। তাতেও লাভ হয়নি। দলকে ভরসা দিতে পারলেন না ধ্রুব জুরেলও (১৪ বলে ৬)। ১০ ওভারের শেষে শুভমনদের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৪৩। জুরেলের পর পরই সাজঘরে ফিরলেন শুভমনও। সিকান্দার রাজার বলে আউট হওয়ার আগে ভারতীয় দলের অধিনায়ক করলেন ২৯ বলে ৩১ রান। ৫টি চার মারলেন তিনি। শুভমন আউট হওয়ায় ভারতের স্কোর হয় ৪৭/৬। অধিনায়ক আউট হওয়ার পর আর কোনও স্বীকৃত ব্যাটার ছিল না ভারতের। ভরসা ছিলেন কেবল অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর। আবেশ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে খানিকটা লড়াই চালালেন তিনি। আবেশকে (১৬) আউট করে রাজা আবার ভারতকে চাপে ফেলে দেন। মুকেশ কুমারকেও (শূন্য) আউট করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও পারলেন না ওয়াশিংটন (২৭)। চাতারার বলে তিনি আউট হতেই ১ বল বাকি থাকতে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ১০২ রানে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন