রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় পানীয় জল, আবাসন, পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে জায়গা দখল করে অস্থায়ী দোকান খোলা নিয়ে সরব হন মমতা। এ নিয়ে মমতার ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় মন্ত্রী-বিধায়কদেরও। সরাসরি কয়েক জনের নাম উল্লেখ করেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা। এর পরেই পরিষেবা নিয়ে তৎপর হয় বিভিন্ন পুরসভা। মঙ্গলবার কোন পুরসভা কী কী পদক্ষেপ করল—
কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত এসএসকেএম হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাথ দখল নিয়ে ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকে ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে নামে পুলিশ এবং পুরসভা। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিধাননগর পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং সেক্টর ফাইভে বুলডো়জ়ার নিয়ে একাধিক দোকানের কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়।
সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাওয়া নিয়ে এবং কোথাও কোথাও ওই জমিতেই বহুতল ওঠা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ভৎর্সনার মুখে প়ড়ে আসানসোল পুরনিগম। রাজ্যের যে প্রান্তে সরকারি জমি বেহাত হয়েছে, সেখানে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর ওই নির্দেশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে অর্থাৎ, সোমবারই শতাব্দী পার্কের বাইরে বাঁশ-টালি দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী ধর্নামঞ্চ ভেঙেছে আসানসোল পুরনিগম।
শিলিগুড়ি পুরএলাকায় পানীয় জল এবং জমি মাফিয়াদের রমরমা নিয়ে সোমবার সরব হতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বাম আমলের জমি মাফিয়াদের উল্লেখ করলেও শহরের মূল সড়কগুলির উপর তৈরি বাণিজ্যিক নির্মাণগুলি তৈরি হয়েছে তৃণমূল আমলে। সেই আবহে প্রশ্ন উঠছে, পুরসভার পক্ষে কি শিলিগুড়ি পুরনিগমে অবৈধ নির্মাণের বাড়বাড়ন্ত আদৌ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে? এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির মেয়র তথা বিল্ডিং এমআইসি গৌতম দেব বলেন, "কাউকেই রেয়াত করা হবে না। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে যাঁরা ভবন নির্মাণ করছেন, ভুল ত্রুটি থাকলে তাঁদেরও নোটিস ধরানো হবে। পুরসভা নিজের কাজ চালিয়ে যাবে।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন