অবশেষে ইডির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী শেখ শাহজাহান। ইডি অভিযানে হামলার ঘটনায় ইডি অফিসারদের কাছে দুঃখপ্রকাশ শেখ শাহজাহানের। তবে দুঃখপ্রকাশ করলেও তিনি হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে এমনই দাবি করেছেন শেখ শাহজাহান। শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যেদিন ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি করতে যান ও ঘটনা ঘটে, সেই প্রসঙ্গে তিনি কিছুই জানতেন না বা মারধর করার নিদানও তিনি দেননি। দাবি শেখ শাহজাহানের।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। সেখানে তাদের তাড়া করে জনতা। শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডি অফিসাররা। ইডি অফিসারদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় তাঁদের। মাথা ফাটে ইডি অফিসারদের। এমনকি ইডি অফিসারদের হাতে থাকে ফাইল, ল্যাপটপও ছিনতাই করে নেয়। সেই ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। ইতিমধ্যে শেখ শাহজাহানের ১২ কোটি ৭৮ লাখ চাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বাড়ি, জমি, ভেড়ি-সহ একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা মনে করছে, শাহজাহানের যে সম্পত্তি, তার সঙ্গে দুর্নীতির সম্পর্ক রয়েছে। রেশন দুর্নীতির টাকা তার কাছে গিয়েছে।
এখন বুধবার সন্দেশখালির সব মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত নির্দেশ দেয়, সেখানকার মানুষ তাদের অভিযোগ সরাসরি সিবিআই-কে জানাতে পারবে। সিবিআই-কে পোর্টাল তৈরি করতে হবে। জমি দখল, ধর্ষণ, চাষের জমিকে ভেড়িতে পরিবর্তন করা সহ সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন