শহজাহানকে ঘিরে বিতর্ক ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শাহজাহান ক্ষমতাবান। ১৫ মিনিটে ৩ হাজার লোক জড়ো করে ফেলেন। আগাম জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে দাবি ইডির। এদিন আদালতে ফেরার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের আগাম জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। ইডি বলে, শাহজাহান এখনও রাজনৈতিক পদে রয়েছেন। ব্লু আইড বয়। টক অব দ্য টাউন। রয়েছে পুরোনো অপরাধের রেকর্ডও। খুনের ধারাতে মামলার পরেও গ্রেফতার হননি শাহজাহান। এর পাশাপাশি সরকারি দফতরে হামলার ঘটনাতেও শাহজাহানের সরাসরি যোগ রয়েছে। আর এই মামলাতেই পুলিসের তরফে তাঁকে ফেরার ঘোষণা করা হয়েছে।
ইডি এদিন আরও বলে যে, আগাম জামিনের বিরোধিতা করছি কারণ, জামিন পেলে শাহজাহান যদি লন্ডনে চলে যান, তাহলে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলা ভেস্তে যেতে পারে। তাই তাঁকে আসতে দিন। দোষী না হলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? আমরা তদন্তে করতে তার বাড়িতে যাই। তার বাড়ি দু-দিক থেকে বন্ধ ছিল। আমরা ফোন করি। দু-বার ফোন ধরে। আমরা নিজেদের পরিচয় দিই। তারপরই ফোন কেটে দেয়। তারপর থেকে ফোন ব্যস্ত ছিল। তারপর ১৫-২০ মিনিটে ১০০০ লোক চলে আসে। আমরা প্রবেশ করতে পারিনি। যখন সেই ঝামেলা শুরু হয়, পুলিস পৌঁছয়। অফিসারদের উদ্ধার করে। তিনজন আহত হয়। একজন গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় ইডির অভিযোগে ন্যাজাট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। তার আগে পুলিস একটি সু্য়োমোটো এফআইআর করে। পুলিসের এফআইআর অনুযায়ী, ৩০০০ মতো লোক ছিল। তখন যা পরিস্থিতি ছিল, তাতে কতজন লোক ছিল সেটা আমাদের পক্ষে নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। কিন্তু খোদ পুলিসের স্বতঃপ্রণোদিত মামলাতেই উল্লেখ ৩০০০ লোক জড়ো হয়েছিল। ৫০ দিন ধরে পলাতক শাহজাহান শেখ। পুলিস তাকে ধরছে না। আমরা জানি না কেন। এদিকে টাওয়ার লোকেশন থেকে আমরা জানতে পারি যে তিনি সেখানে ছিলেন। ইডিকে আটকাতে পুরো আক্রমণের পরিকল্পনা করেন।
এর পরে শাহজাহানের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন যে, ৩ ফেব্রুয়ারি আগাম জামিনের আবেদন করে। এরপরই আমার বাড়ি টার্গেট করে। গ্রামবাসীরা টার্গেট করে। তাহলে সেই একই গ্রামের লোকেরা কীভাবে ইডিকে আটকাতে আসবে? এমন কী ঘটল যে পুরো বিষয়টা বদলে গেল? গ্রামের লোকরা তার গ্রেফতার চাইতে শুরু করল ? যদি আমি তাদের জড়ো করে থাকি ইডিকে আটকাতে, তাহলে পরে তারা আমার বাড়ি কেন ভাঙতে আসবে? এটা সারপ্রাইজ অ্যাটাক হলে তাহলে আমার জানার কথা নয় যে এই লোকগুলো আসছে। সেটা আমার জানার কথা নয়! মব হ্যাজ রাইট টু রিয়্যাক্ট।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন