এখনও জ্বলছে সন্দেশখালি। এমন আবহে ওই এলাকার সাংসদ হিসেবে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পর সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বিবৃতি দিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান৷ দাবি করলেন, সাংসদ হিসেবে প্রতিনিয়ত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি।
এ দিন লিখিত বার্তায় বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ জানান, এই কঠিন সন্ধিক্ষণে আসুন আমরা অন্যদের উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থেকে প্রশাসনকে সাহায্য করি। রাজ্য সরকার নিরন্তর ভাবে স্থানীয় মানুষকে সাহায্য করছে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি নিয়মিত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি না করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাজ আগুন নেভানো, তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া নয়। আসুন সবাই মিলে প্রশাসনকে সাহায্য করে তাদের নিজেদের কাজটুকু করতে দিই।
দুই তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে জমি দখল, নারী নির্যাতন সহ একাধিক অভিযোগে গত বুধবার থেকে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল সন্দেশখালির পরিস্থিতি। রীতিমতো আগুন জ্বলেছিল বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালিতে। যদিও ঘটনার পর থেকে নুসরত জাহানকে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মতামত বা বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি। মহিলাদের উপরে অত্যাচারের যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি নুসরত।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন