ডিসেম্বর মাস থেকে কি তৃণমূলেও 'যোগদান মেলা'?

সামনেই লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যে সাংগঠনিক কাজকর্ম পুরোদস্তুর শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল-সহ সমস্ত বিরোধী দলগুলি। গত ১৩ নভেম্বর তৃণমূলের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে, জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা।

এরপর ২৩ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের আগামীর লক্ষ্য ও কর্মসূচির বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ২৭ নভেম্বর দলে তরফে ঘোষণা করা হয়েছে মহিলা ও যুব সংগঠনের জেলা ভিত্তিক তালিকা। তবে তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনের মঞ্চ থেকেই রাজনৈতিক ভাবে 'স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে' তৃণমূল শামিল করার সবুক সঙ্কেত দিয়েছেন দলনেত্রী। তবে একবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে কথা বলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূল নেত্রীর এই ঘোষণার পর থেকে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। মূলত, পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের সময় যাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়ে 'নির্দল' হয়েছিলেন, তাঁরা ফের জোড়াফুল শিবিরে শামিল হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতির সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগও করেছেন। যোগদানের আবেদনপত্র আসছে তৃণমূল জেলা সভাপতিদের কাছে। জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতা জানিয়ে দিয়েছেন, জোড়াফুলকে ক্ষতি করবে না, এমন ব্যক্তিদের তৃণমূলে যোগদানের আবেদনপত্র রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে।  রাজ্য অনুমতি দিলেই ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাবে 'যোগদান মেলা'।