মিশন দিল্লি শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু এখনও রাজধানী দিল্লি ছাড়েননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই তাঁকে ও তৃণমূলের বেশ-কয়েকজন নেতাকে আটক করেছিল দিল্লি পুলিশ। এই অবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তলব করল ইডি। শুধু তিনিই নন, এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির ডাক অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁকেও নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আগামী ৯ অক্টোবর অভিষেককে তলব করেছে ইডি। এদিকে, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে আগামী ১১ অক্টোবর।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রুজিরার বয়ান রেকর্ড করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, তদন্তে পাওয়া বিভিন্ন নথি ও তথ্যের ভিত্তিতে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ার রেকর্ড করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই আগামী সপ্তাহে তাঁকে তলব করা হয়েছে। এর আগে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তাঁরা এখনও কেউ তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হননি।
বুধবার সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, "আগে একটা কথা ছিল, জো ডর গয়া, ওহ্ মর গয়া। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন এত ভয় পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার? কারণ হচ্ছে, তৃণমূল যেভাবে বাংলায় ওদের পরাজিত করেছে, তাতে নাকানি চোবানি খেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। এত অপদস্থ বোধহয় আর কোথাও হতে হয়নি।"ফিরহাদ আরও বলেন, "২০০ পার বলেছিলেন, পগার পার হয়ে গিয়েছে। এটাই রাগের মূল কারণ। এখন বাংলা যখন I.N.D.I.A জোটে এগিয়ে যাচ্ছে, জোটের সমন্বয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে অভিষেককে, তাতে ভয় পেয়েছে ওরা। ভাবছে এই বার্তা যদি গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে মোদি সাহেব ক্ষমতায় ফিরবেন না নিশ্চিত। সেই ভয়ে এখন মরণঝাঁপ। তাই অভিষেককে আটকাও।"
প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের বাবা-মাকেও তলব করেছে ইডি। আগামী সপ্তাহে তলব করা হয়েছে রুজিরাকেও। সেই নিয়ে ফিরহাদের বক্তব্য, "একজনের বাড়ির লোকজনকে হেনস্থা করছেন আপনি। যারা বউকে, মাকে ধরে টানে, তাদের কাপুরুষ বলা হয়। সেই কাজটা এখন নরেন্দ্র মোদি সরকার করছে। এটাকে ধিক্কার জানাই। এমন প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখে লজ্জাবোধ হচ্ছে।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন