যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনল বঙ্গ বিজেপ। প্রস্তাব গ্রহণ করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। প্রস্তাবটি পাঠ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে বলেন, "দেশবিরোধী কথা যারা বলেন তাঁদের একটা ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানো-সহ যে সব নির্দেশিকা হাইকোর্টের প্রাক্তণ প্রধান বিচারপতি দিয়েছিলেন, সে সব মানা হয়নি। কেন মানা হয়নি, সেটা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চাই।" এর পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, "প্রাক্তণ উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন প্রাক্তণ শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।"
এদিন ছাত্রমৃত্যু ইস্যুতে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। রাজ্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চান বিজেপি বিধায়করা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, "বিধায়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের ৫ জন ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেছি। সমবেদনা জানিয়েছি। কিন্তু যে ক্ষতি তাকে তো ফিরিয়ে দিতে পারব না।
রাজ্যপাল যাদবপুরে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন ব্রাত্য বসু। তাঁর আরও অভিযোগ, এর জন্য ১০০ শতাংশ দায়ী রাজ্যপাল। এরপর বিজেপি বিধায়করা চিৎকার শুরু করেন। শুভেন্দু অধিকারী বলতে শুরু করেন, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য স্তম্ভিত। মাদক পাচার চক্রের অবাধ বিচরণ ছিল বলে অভিযোগ। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থানা। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। র্যাগিং করেছে। সিনিয়ররা হস্টেল দখল করে রাখত। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হৃদয়বিদারক। এটা নতুন নয়। ওখানে এক ধরনের উগ্র বাম মানসিকতার সংগঠনের ছাত্র আছে যারা দেশবিরোধী কথা বলে মাঝেমাঝে। যাদবপুরের ক্ষেত্রে ইউজিসি নিয়ম দীর্ঘদিন মানা হয়নি। যাদবপুর নিয়ে কিছু নির্দেশিকা দিয়েছিল। সিসিটিভি স্থাপন আর পুলিশ কিয়স্ক। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ মান্যতা দেওয়া হয়নি। তাহলে ১৭ বছরের ছেলেটির প্রাণ যেত না।
শুভেন্দু আরও প্রশ্ন তোলেন, এই যে আখড়া হয়েছে, সেটা উপড়ে ফেলার জন্য সরকার কী ভাবছে? আর কী কী ব্যবস্থার কথা ভাবছে? যাতে আগামীদিনে গ্রাম থেকে আসা ছেলেরা সুস্থ থাকবে, সরকার তার গ্যারান্টি নেবে? যাদবপুরের প্রাক্তন উপাচার্য, যিনি সিসিটিভি বসানোর জন্য সওয়াল করেছিলেন, তাঁকে অপসারণের জন্য তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা। এই সংক্রান্ত প্রশ্ন অবশ্য বাদ দিতে বলেন অধ্যক্ষ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন