আজ, বৃহস্পতিবারও মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের অশান্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। মুড়ি-মুড়কির মতো পড়ল বোমা। তুমুল সংঘর্ষ। এলাকায় উত্তেজনা। এদিনের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁদের অন্তত চারজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফ।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের সংঘর্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, এদিন বেলা ১২ টা থেকে ভাঙড় দু নম্বর ভিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় আইএসএএফ কর্মীদের আটকে রাখা হয়। তাঁরা জানায়, আইএসএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় একের পর এক বোমা। গোটা এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়।
গুলি-বোমাবাজির জেরে সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন কয়েকজন আইএসএফ সমর্থক। বেশ কিছু আহতকে আরজিকর নিয়ে যাওয়া হয় বলেও স্থানীয় সূত্রের খবর। অশান্তি আরও বাড়ার আশঙ্কা। সংঘর্ষের জেরে এলাকার ৭-৮টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
এদিন মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় চোপড়ায় বাম কংগ্রেস প্রার্থীদের লক্ষ্য করেও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলিতে জখম হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত আরও ২ বাম কংগ্রেস-কর্মী।
এদিন বাম কংগ্রেস প্রার্থীরা মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে চোপড়ার বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতী তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বিডিও অফিস থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটে। মনোনয়নের শেষ বেলায় রক্তাক্ত হয় উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া। আর এবার ভাঙড়ও।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন