আইএসএফের মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত এদিন স্পষ্ট বলেছে, আইএসএফের যে ৮২ জন মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের মনোনয়ন দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে।
মনোনয়ন পর্বের শেষ দিন অর্থাৎ ১৫ জুন আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের পুলিশি এসকর্ট করে বিডিও অফিসে পৌঁছে দিতে হবে। সেদিনই বিডিও অফিসের অদূরে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। আইএসএফ আদালতে দ্বারস্থ হয়ে জানায়, আদালত নির্দেশ দিয়েছিল তাদের প্রার্থীদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার। অনেকে পৌঁছেছিলেন, অনেকে বাধার কারণে পারেননি। যাঁরা পৌঁছেছিলেন, তাঁদের অনেকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এরপর স্ক্রুটিনি ও প্রত্যাহার পর্ব মিটে যাওয়ার পর দেখা যায় ১০টি আসনে তৃণমূল বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেন, গণতন্ত্রে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা কখনও নজির হতে পারে না।
এখন দেখার, কমিশন কী উদ্যোগ নেয়। তারা কি আদৌ মনোনয়নের বন্দোবস্ত করবে, নাকি সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন