আরও চাপে রাজ্য সরকার। কলকাতা হাই কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চেও বহাল একই রায়। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে কোনও স্থগিতাদেশ নয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যে যোগাযোগ আছে। তাই দু-টি মামলা সংক্রান্ত তথ্য দেখতে চায় আদালত। ইডি-র তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর প্রশ্ন, "দুর্নীতির অনুমানের ভিত্তিতে সিঙ্গল বেঞ্চকে আর কী তথ্য দিয়েছিলেন? দুই দপ্তরের দুর্নীতি পারস্পরিক যুক্ত সেই লিংকটা দেওয়া দরকার।
রাজ্য সরকারের আইনজীবী জয়দীপ করের দাবি, "সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোনও প্রমাণ নেই। দু-টি মামলার যোগসূত্র বলতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার শুধু লিংক দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টে এমন কোনও চাকরিপ্রার্থী আসেননি যিনি বঞ্চিত হয়েছেন।" ইডি-র আইনজীবী অমাজিত দে জানান, "এজেন্সি কোথাও যদি বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সন্দেহপ্রকাশ করে তাহলে তদন্ত করতে পারে। তার জন্য বিস্তারিত তথ্য লাগে না। তদন্তের কতটা অগ্রগতি হয়েছে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখাতে চাই।" ইডি-র আইনজীবীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অপূর্ব সিনহা আদালতে কেস ডায়েরি পেশের কথা বলেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ জুন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন