নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই ফের নয়া শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে ইতিবাচক বার্তা দিতে চাইছে নবান্ন। প্রায় আড়াই হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারির পাশাপাশি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের বিধি প্রায় প্রস্তুত করে ফেলেছে এসএসসি। আগামী ১৮ আগস্ট, বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার।
অন্যদিকে, হাই কোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে। সেই পদগুলিতে নিয়োগ নিয়ে নয়া বিধি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে দফতর। আর এই নয়া বিধি আইনদফতরের অনুমোদন পেলেই তা দ্রুত পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। স্বভাবতই আগামী সপ্তাহে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদের সিদ্ধান্ত হলে বিজ্ঞপ্তি জারির পাশাপাশি শীঘ্রই নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার পথে হাঁটবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে হাই কোর্টে জানানো হয়েছে, রাজ্য প্রায় আড়াই হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সেই শূন্যপদ গুলিতেই নিয়োগের জন্য উদ্যোগী সরকার।অন্যদিকে স্কুলভিত্তিক চূড়ান্ত শূন্যপদের তালিকা শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৈরি করে তা এসএসসিতে পাঠিয়ে দেবে বলেই সূত্রের খবর। তবে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের বিধিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়ে দিলেই বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়া শুরু করে দেবে কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু রদবদল আনা হচ্ছে নিয়মে। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ৯০ নম্বর হবে ওএমআর শিটে, ১০ নম্বরের হবে ইন্টারভিউ। যে লিখিত পরীক্ষা হবে তার পুরোটাই হবে ওএমআর শিটে। তবে এবার কমিশন অনেকটাই 'পরীক্ষার্থী বান্ধব' হতে চাইছে। বস্তুত সেই কারণেই প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন কী হবে তা মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেই বিজ্ঞপ্তি জারির পর পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি ইন্টারভিউ-এর নিয়মেও বেশ কিছু রদবদল আনবে দফতর। এবার নয়া নিয়োগে লিখিত ও ইন্টারভিউ শেষে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের নিয়মেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে দাবি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন