প্রতিমাসে ২০ দিন হোটেলে ডেটিং-এ যেতেন 'অপা'!

 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একাধিক দফতরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি সামলাতেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবের গুরুদায়িত্বও ।

এহেন হেভিওয়েট এক রাজনীতিবিদের যে ফুরসত ফেলার সময় থাকবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি সূত্র বলছে যে এত ব্যস্ততার মাঝেও অবসর খুঁজে নিতেন পার্থ। অন্তত তদন্তে এমনই তথ্য সামনে এসেছে। তাঁরা জানতে পেরেছেন, প্রতিমাসে অন্তত ২০ দিন এমন অবসর খুঁজে বের করতেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। আর সেই অবসরে তিনি চলে যেতেন সোজা সিঙ্গুর। সেখানেই একটি হোটেলে একান্তে সময় কাটাতেন ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে । ইডি-র ওই সূত্র জানাচ্ছে যে দু-নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ওই হোটেল বেশ জনপ্রিয়। ওই পথে যাঁরা যাতায়াত করেন, তাঁরা হামেশাই সেখানে থামেন। সময় কাটান অনেকেই। ইতিমধ্যে ওই হোটেলের মালিক ও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। ইডি সূত্র বলছে যে সেখানে শুধু পার্থ ও অর্পিতাই যেতেন। পার্থর কোনও নিরাপত্তারক্ষী থাকতেন না। অর্পিতাকে একটি বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই গাড়ি নিয়েই অর্পিতা আসতেন পার্থর নাকতলার বাড়িতে। তার পর দু-জনে বেরিয়ে পড়তেন লংড্রাইভে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে হুগলির সিঙ্গুরের ওই হোটেল ছিল তাঁদের গন্তব্য। সেখানে পার্থ-অর্পিতার পছন্দের খাবার ছিল মটন বিরিয়ানি। এছাড়া আরও অনেক কিছুই খেতেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠছে, ইডি এই তথ্য কীভাবে পেল ? গোয়েন্দাদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, পার্থর নাকতলার বাড়ি থেকে একাধিক নথি উদ্ধার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই নথিগুলির মধ্য থেকে এই হোটেলে গিয়ে একান্তে সময় কাটানো, খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। এখন ইডি খতিয়ে দেখছে যে পার্থ-অর্পিতা কি সেখানে শুধু ডেটিংয়ে যেতেন। নাকি তাঁদের অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকত। সেখানে কি অন্য কেউ আসতেন ? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও লেনদেন কি সেখানে হত ? আগামিকাল পর্যন্ত পার্থ ও অর্পিতা ইডির হেফাজতে থাকবেন। তার আগেই তাঁদের থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছে ইডি। ফলে এই নিয়ে নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কি না, এখন সেটাই দেখার।