পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট কি এগিয়ে আসছে? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সম্প্রতিক এক নির্দেশকে ঘিরে এমনই জল্পনা উকি দিচ্ছে। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী এই মর্মে সব জেলাশাসককে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করার পাশাপাশি, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসন সংরক্ষণের কাজও সেরে ফেলতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে।
নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল-মে মাসে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তবে অসমর্থিত সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোট ডিসেম্বরে করতে চাইছে নবান্ন। যদিও সরকারি ভাবে এখনও এই বিষয়ে কিছু বলা হচ্ছে না। তবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পঞ্চায়েতের আসন পুনর্বিন্যাস শেষ করার তোড়জোড় সেদিকেই নির্দেশ করছে বলে একটি প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা।
যে কারণে আগামী সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে জেলাশাসকদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি বিষয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক। সাধারণত প্রতি ১০ বছর অন্তর সীমানা পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণে বদল হয়ে থাকে। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২০১২ সালে শেষ বার এই কাজ হয়েছিল। ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে রাজ্যে মোট ৪৮ হাজার ৬৩৬টি আসন রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৯,২১৪। জেলা পরিষদে ৮২৪টি আসন রয়েছে। সীমানা পুনর্বিন্যাসের পর স্বাভাবিক ভাবেই তা বদলে যাবে। বস্তুত, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে সীমানা পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণের কাজ করবেন ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারেরা (বিডিও)। পঞ্চায়েত সমিতিতে এই কাজের দায়িত্বে থাকবেন মহকুমা শাসকেরা। জেলা পরিষদ স্তরে জেলাশাসকদের আসন সংরক্ষণ ও সীমানা পুনর্বিন্যাসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন