স্কুলে পড়ান অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। সেই চাকরিও নাকি পেয়েছেন টেট পাশ না করেই। একা সুকন্যা নয়, তাঁর সঙ্গে অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলার মধ্যে নতুন এই অভিযোগ উঠে আসায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার আন্দোলনরত প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ব্রাত্য। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "উনি কবে চাকরি পেয়েছেন? উনি যে স্কুলে পড়ান তাই জানতাম না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।"
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার বেলা ১২ টা বেজে ১৭ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল পৌঁছন মণ্ডল বাড়িতে।
অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পরই তাঁর সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। তখনই উঠে আসে কেষ্টকন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নাম। তাঁর নামে একাধিক সম্পত্তি ও কোম্পানির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। পেশায় শিক্ষিকা সুকন্যার এত সম্পত্তি এল কোথা থেকে, তা জানতে জেরার সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। বুধবার সকালে প্রথমে অনুব্রতর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁকে প্রায় ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতর নিচুপট্টির বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সোজা উঠে যান দোতলায়। সেখানে ছিলেন সুকন্যা। মিনিট দশেকের মধ্যে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, সিবিআইকে সহযোগিতা করতে রাজি হননি সুকন্যা। তিনি জানান, "বাবা হেফাজতে রয়েছেন, সদ্যই মাকে হারিয়েছি। তাই এখন কোনও কথা বলব না।" সেই কারণেই ১০ মিনিটের মধ্যেই মণ্ডল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, এখন নজর সেদিকেই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন