পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে এগোচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। যোগদান মেলার ধাঁচে এবারট তারা শুরু করবে যোগদান কর্মসূচি। এই মাস থেকেই কর্মসূচি শুরুর ভাবনা রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। একুশে যোগদান মেলা। একুশের ভোটে স্বপ্নভঙ্গ। এবার বাইশে ফের যোগদান কর্মসূচি। লক্ষ্য তেইশের পঞ্চায়েত ভোট এবং চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন।
বঙ্গ বিজেপি চাইছে নিয়োগ দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই তৃণমূলে ফাটল ধরাতে।
দু-দিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ছিল, "আমরা পচা আলু নেব না। বেছে বেছে আলু নেব...।" গত বিধানসভা ভোটের আগে যোগদান মেলায় যে সমস্ত নেতা কর্মীরা বিজেপির শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেরই তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হয়েছে। তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার কিংবা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জেরে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শাসক বিরোধী হাওয়া বইছে বলে মনে করলেও গেরুয়া শিবিরের নেতারা যোগদানের বিষয়ে বেশ সতর্ক।
স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, যাদের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই এখন গেরুয়া শিবিরে যোগদানের মাপকাঠি করার ভাবনাচিন্তা। যে কেউ বিজেপিতে যোগদানের ইচ্ছেপ্রকাশ করলেই যে তাঁকে সাদরে গ্রহণ করা হবে, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এমনটা আর করতে রাজি নয় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকেই বিজেপি শিবিরে নাম লেখালেও পরবর্তীকালে দল ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। তাই সংগঠন বিস্তারের পাশাপাশি নতুনদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাকনি ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি নেতারা।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি ঢাকঢোল পিটিয়ে করেছিল যোগদান মেলা। তাতে সাড়াও মিলতে দেখা যায়। অনেকেই বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির 'ইস বার দোশো পার'-এর স্লোগান দিয়ে বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন কার্যত ভেঙে চুরমার হয়ে যায় পদ্ম নেতাদের। এরপরেও আবার কেন যোগদান কর্মসূচির ভাবনা? এই প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন