শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের। ২৬৯ জন চাকরিপ্রার্থীর সকলকে কেন অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল ? এই বিষয়ে বিশদে তদন্ত হওয়া দরকার। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে চলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এই দাবি তুললেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগে ওই ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি নাকচ করে দিয়েছে আদালত। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তাই তাঁরা আরটিআই করেছিলেন ৷
বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য, চাপের মুখে পিঠ বাঁচাতেই এমন তত্ত্ব খাড়া করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যাঁদের ১ নম্বর করে বাড়ানো হয়েছিল, তাঁদের সকলে মোটেও আরটিআই করেননি । বদলে তাঁরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। সেই বিক্ষোভ সামাল দিতেই তাঁদের অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল । বিকাশরঞ্জনের দাবি, এই তথ্য সিঙ্গল বেঞ্চে পর্ষদ নিজেই পেশ করেছিল। কিন্তু, প্রশ্ন হল, কীসের ভিত্তিতে এই আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছিল ? গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিকাশরঞ্জন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন