শিক্ষক নিয়োগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। বেশি নম্বর পাওয়া তিনজনকে বঞ্চিত করে কম নম্বর পাওয়া একজনকে চাকরি দেওয়ার নয়া অভিযোগ সামনে এল। কমিশনের রিপোর্টে এই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
আদালত সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, সেতাবউদ্দিন ও অন্যদের অভিযোগ ছিল, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৈরি মেধা তালিকা বেরলেও সেখানে প্রার্থীরা কে কত নম্বর পেয়েছেন, তা স্পষ্ট করা হয়নি। ফলে যাঁদের নাম চাকরির জন্য সুপারিশ করা হয়, তাঁরা সত্যিই মামলাকারীদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছিলেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যাচ্ছে। এই অভিযোগের জেরে আদালত কমিশনকে রিপোর্ট দিতে বলে।
রিপোর্টে দেখা যায়, মামলায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি ও চাকরি প্রাপক (সেখ ইনসান আলি) পেয়েছেন ৮৭। সেখানে অন্তত তিনজন মামলাকারী তাঁর থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন। আলির আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল একটি নয়, কমিশনের কাছ থেকে দু-টি চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন। প্রথমটি পান প্যানেলের মেয়াদ বজায় থাকাকালীন। সুপারিশ মতো কাষ্ঠডাঙা তারকদাস বিদ্যাপীঠে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর বিষয়ে কোনও শূন্যপদ নেই। কমিশনকে তা জানালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় সুপারিশপত্র দেওয়া হয়। সেইমতো বাণীনিকেতন আরএন বিদ্যালয়ে চাকরি পান।
এই প্রেক্ষাপটে বিচারপতি কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন, কাষ্ঠডাঙার বিদ্যালয়ে শূন্যপদের খবর কমিশন কবে পেয়েছিল? যদি ওই পদে অন্য কাউকে আগেই সুপারিশ করা হয়ে থাকে, তাহলে তা কবে? মঙ্গলবার জবাব দিতে হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন