গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি হল তিন সপ্তাহ। কিন্তু যাদের যাদের অবৈধভাবে নিয়োগ হয়েছে তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে চাকরির প্রথমদিন থেকে আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত যে বেতন তারা পেয়েছেন তা সম্পূর্ণ ফেরত দিয়ে দিতে হবে। এর পাশাপাশি ২০১৯ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তুলে দিতে হবে আদালতের কাছে। আদালতের নির্দেশের আগে এবং পরে কমিশন নির্দেশ পালন করেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী দুই সপ্তাহ পর।
বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার উঠে আসে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, 'এমন একটি গোপনীয় নথিতে কে স্বাক্ষর করতে পারে। ডিজিটাল স্বাক্ষর! তার পাসওয়ার্ড থাকে। আমরা জানি কি ভাবে স্বাক্ষর করতে হয়। এটা খুব গোপনীয়। আপনি বলছেন এটা করেন নি।
হলফনামা যাই দিন, তথ্য মিথ্যা হয়ে যাবে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে এসএসসি গ্রুপ ডি-তে ভুয়ো নিয়োগ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ৫৭৩টি ভুয়ো নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রুপ ডি-র নিয়োগ অনিয়ম, দুর্নীতিতে ভরা বলেও এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি, এই ৫৭৩ জন বেতন বাবদ যে টাকা এতদিন নিয়েছেন, তাও পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।কারণ জনগণের দেওয়া করের টাকাতেই ভুয়ো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া প্রত্যেকের বেতন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি। কীভাবে টাকা পুনরুদ্ধার হবে, তা প্রতিটি জেলার স্কুল পরিদর্শকরাই ঠিক করবেন বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সালের মে মাসে এসএসসি গ্রুপ ডি-র মেধা তালিকার মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদ পেরনোর পরেও রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে অসংখ্য নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। এই সংক্রান্ত প্রায় এক হাজার অভিযোগ শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টেই দায়ের হয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন