রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আইএএস, আইপিএসদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। ওই বৈঠকে আমলাদের সঙ্গে উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'নিজের দফতরের কাজের খেয়াল রাখতে হবে। শুধু পয়সা দিলাম আর মেলা করালাম, এবার থেকে সেটা চলবে না। উপর তলার অফিসাররা নিচের তলায় রিপোর্ট দেয়, কাজ হয়ে গেছে। উপর তলার অফিসাররা নিচের তলায় কাজ ঠেলে দেন। এটা চরম অবহেলার পরিচয়, এমনটা করা চলবে না। সরকারি কাজে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।'
আগামী ১৫ তারিখ থেকে শুরু হবে এ বছরের দ্বিতীয় দফার 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প।
এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, পুলিশে যে শূন্যপদ আছে, সেগুলি পূরণ হচ্ছে কিনা? প্রত্যুত্তরে ডিজি জানান, অনেক শূন্যপদ আছে। সেই শূন্যপদ পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মমতা নির্দেশ দেন, 'ওগুলো চটপট পূরণ করতে বল। যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা করতেই চান না।' তবে রাজ্য পুলিশে নয়, পিএসসিতেও দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারই দ্রুত এবং স্বচ্ছ নিয়োগের আর্জি জানিয়ে পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। সেই পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর উদ্দেশে মমতা বলেন, পিএসসিকেও বলে দিত বল। আমরা যে নিয়োগ করতে বলেছি, সেগুলো তাড়াতাড়ি করুক। হেলথ রিক্রুটমেন্টে বোর্ড (শূন্যপদ) থাকলে (পূরণ) করতে বল। আমার তো ডাক্তার, নার্স, অফিসার চাই। (শূন্যপদ) ফেলে রাখা যাবে না।' পরে পিএসসির উপর ক্ষোভপ্রকাশ করে মমতা বলেন, 'আমি কর্মসংস্থানের অনুমতি দিয়েছি, ওরা বসে আছে।'
এর পরে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, '৭২ শতাংশ মানুষকে আমরা করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি। মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের কাজ শুরু হয়েছে। ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি অসহযোগিতা করছে। কোনও ব্যাঙ্ক না দিলে, সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে। যে সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে না, তার কাছে জবাব চাওয়া হোক। ব্যাঙ্ক যে দয়া করছে না, সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে। সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে, ছাত্রদের ঋণ দিতেই হবে। রাজ্যে রাজস্ব আদায় কোভিড আবহে কমেছে। কেন্দ্রের কাছ থেকে এখনও ৯০ হাজার কোটি টাকা রাজ্য পায়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন